উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ
রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে আলু ও পিঁয়াজের দাম বৃদ্ধি নিয়ে রাজ্য সরকারকে একহাত নিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সেই সমালোচনার জবাব শাসক দলের পক্ষে না দিয়ে বরং সুফল বাংলার স্টল আরও বেশি স্থানে খুলে কম দামে আলু পিঁয়াজ বিক্রির চেষ্টা করল রাজ্য সরকার।
অধীর চৌধুরী বলেন,”পশ্চিমবঙ্গের বাজারে অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকার ব্যর্থ। সব দায়িত্ব কেন্দ্রের ওপর চালানোর চেষ্টা করে নিজে বাঁচার ব্যবস্থা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবিষয়ে রাজ্য সরকারের কর্তব্য ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। আর সুফল বাংলার উনি কটা স্টল দিতে পারবেন? শুধু কয়েকটা কলকাতায়, ব্যাস! গোটা রাজ্যের মানুষ কোথা থেকে কম দামে কিনবে আলু-পিঁয়াজ?” বর্তমান উৎসবের মরশুম। এর মাঝেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধিতে নাজেহাল আমজনতা।
আরও পড়ুনঃ আলকায়দার ‘হিট লিস্টে’ বাংলার রাজনীতিবিদরা,ভোটের আগে সতর্ক করলো গোয়েন্দারা
এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের পরপর তল্লাশির পরেও কমানো যায়নি আলু, পিঁয়াজের দাম। সেই সূত্রে রাজ্য সরকার এখন থেকে আরও বেশি করে সুফল বাংলা স্টলে আলু বিক্রির সিদ্ধান্ত নিল। পঁচিশ টাকা কিলো দরে ওই আলু পাওয়া যাবে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।চলতি সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেছিলেন, অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের উপর রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণ তুলে নিয়েছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুনঃ রোজভ্যালিকাণ্ডে গৌতম কুণ্ডুর ৩টি ফ্ল্যাট খালি করার নোটিস ইডি-র
তার ফলে বাজার এখন একেবারেই অগ্নিমূল্য হয়ে উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, যদি নিয়ন্ত্রণ না করতে পারেন তাহলে রাজ্য সরকারের ক্ষমতা ফিরিয়ে দিন। আট চল্লিশ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কোনও সদুত্তর না পেয়ে অবশেষে সুফল বাংলার স্টল থেকে পঁচিশ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। আর তার জন্য রাজ্যে সুফল বাংলার স্টলের সংখ্যা বাড়ানো হল।
আরও পড়ুনঃ বাংলায় আমপানের ক্ষতিপূরণ বাবদ ২,৭০৭ কোটি টাকার অর্থ সাহায্য কেন্দ্রের
এখন থেকে মোট ছশো ত্রিশ টি স্টল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কম দামে আলু বিক্রি করা হবে।রাজ্যের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে সকলকেই বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বারবার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তদ্বির করেও কোনও সুরাহা মিলছে না। অগত্যা মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যবাসীর জন্য দীপাবলির আগে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে নবান্ন সূত্রে খবর। রাজ্যের এই উদ্যোগে কিছুটা হলেও সুরাহা মিলবে বলে মনে করছে প্রশাসনের অন্দরমহল।
তার কারণ, বাজারের উপর কোনও নিয়ন্ত্রণ না থাকায় সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে প্রতি মুহূর্তে। আর এই অবস্থায় রাত পোহালেই কালীপুজো, দীপাবলি তারপর ভাইফোটা। করোনা পরিস্থিতির পর সাধারণ মানুষ যাতে অন্তত একটু খেয়ে পরে বাঁচতে পারে সেদিকেই নজর রেখে মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584