দশমীর পরে চতুর্ভুজা বলাইচন্ডী রূপে দেবি দুর্গা পূজিত হন খাদিমপুরে

0
99

পিয়া গুপ্তা, উত্তর দিনাজপুরঃ

দশমীর পর যখন সারা বাংলা জুড়ে দশভূজার বিদায়ে বিষাদের ছায়া ঠিক উলটো চিত্র ধরা পরল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ থানার ১৪ নং কমলাবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের খাদিমপুর গ্রাম নতুন করে মেতে উঠেছে শারদীয়া পুজোর আনন্দে।

বলাইচন্ডী। নিজস্ব চিত্র

দশমীর পরের দিন থেকেই শুরু এখানকার দূর্গাপুজা। পুজোর আনন্দে মেতে ওঠেন খাদিমপুর গ্রামের আট থেকে আশি সকলেই। পুজোর চারদিন বসে মেলাও।

তবে এখানে দেবী দূর্গাকে ” বলাইচন্ডী ” রূপে পুজা করা হয়ে থাকে। এখানে দেবী দশভূজার বদলে চতুর্ভুজা। চার হাতেই দেবীর অস্ত্র থাকলেও এখানে দেবীর পদতলে নেই মহিষাসুর। তবে অন্যান্য দূর্গামন্ডপের মতো এখানেও কার্তিক গনেশ, লক্ষ্মী সরস্বতী নিয়ে রয়েছেন বলাইচন্ডী সপরিবারেই।

গোপালচন্দ্র বর্মণ, পুজো উদ্যোক্তা। নিজস্ব চিত্র

খাদিমপুরের বাসিন্দা তথা পুজো কমিটির কর্মকর্তা সুরেন্দ্রনাথ বর্মন জানালেন, কত বছরের পুরানো এই পুজো তা কেউই বলতে পারেনা।

আনুমানিক স্বাধীনতার আগে থেকেই এই পূজো শুরু হয়। একই নিয়মে দশমীর দিনই শুরু হয় এখানে বালাইচন্ডীরূপী দেবী দূর্গার পুজা। দশমীর রাতে শুরু হওয়া পুজো চলবে চারদিন। পুজোর পাশাপাশি পুজোকে ঘিরে বসে মেলা।

আরও পড়ুনঃ দেবী দুর্গার ভান্ডানী রূপে পুজো ভোলার ডাবরি গ্রামে

পুজোর সময় গ্রামের প্রত্যেকে নিরামিষ আহার গ্রহন করেন। দশমী দিন বিসর্জনের পর আমিষ খান গ্রামবাসীরা। আর এই বালাইচন্ডীরূপী দূর্গাপুজোই খাদিমপুর গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে আসল পুজো। এই পুজোকে কেন্দ্র করে আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠেন বাসিন্দারা।

এখানকার বালাইচন্ডীরূপী দেবী দূর্গা খুবই জাগ্রত মেনে বহূ দূর দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসেন খাদিমপুরে। শারদীয়া উৎসব যেখানে শেষ হয়ে বিষাদের সুর বেজে উঠেছে আর তখনই রায়গঞ্জ শহর থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে খাদিমপুর গ্রামে আগমনীর আগমনে আনন্দে মেতে উঠেছে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here