শুভদীপ ভট্টাচার্য্য, বহরমপুরঃ
সারা বাংলা নক আউট ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করল মধুপুর বিষ্ণুপুর ক্লাবের ফুটবল প্রেমী উদ্যোক্তারা। একেই ফুটবলের মরশুম, বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও কাটেনি ফুটবলম্যানিয়া, তাই যেসব ফুটবলপ্রেমীরা যেতে পারেননি লুঝনিকি স্টেডিয়াম অথচ সামনে থেকে খেলা দেখবার ইচ্ছা ষোলোআনা পুষে রাখেন মনে,তাদের জন্যই আয়োজন এই টুর্নামেন্টের।
আয়োজক মিঠু জৈন।মোট আটটি টিম খেলবে দুই রাত। তার মধ্যে থেকেই কৃতিরা ছিনিয়ে নেবে কাপ। রাজ্যের কৃতি খেলওয়ার দের সঙ্গে নাইজেরিয়া থেকেও কিছু খেলওয়ার এসেছেন টুর্নামেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে। রাজনৈতিক মঞ্চের মানুষ মিঠু বাবু, কিন্তু বাঙালির রক্তেই মিশে রয়েছে ফুটবলপ্রেম,তাই নেহাতই প্রেমকে বাঁচাতে ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন মিঠু জৈনের।খেলার উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে ফুটবল ময়দানে বসেছিল চাঁদের হাট। জেলার নামজাদা ও বেনামি খেলওয়ার, যারা কৃতিত্বের অবদান রেখেছেন খেলার জগতে, তাদের সম্মান জানিয়ে, স্মারক জ্ঞাপনের মধ্যে দিয়েই ফুটবল খেলার শুভ উদ্বোধন হয়।
উদ্বোধন করেন রাজ্যের প্রানীসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের চেয়ারম্যান ও সাগরদিঘীর বিধায়ক সুব্রত সাহা। উদ্বোধনী ভাষণে, তার শৈশবের দিন গুলিতে জেলার খেলওয়ারদের স্মৃতিচারণ করেন সুব্রত বাবু। বহরমপুর শহরের প্রখ্যাত ক্লাবগুলির কীর্তিমান খেলোয়ার প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন এবং আগামীতে জেলা জুড়ে খেলওয়ার তৈরীর জন্য ক্লাবগুলির প্রতি আহ্বান জানান তিনি। একইসঙ্গে সাধুবাদ জানান উদ্যোক্তাদের মহতী আয়োজনের জন্য।
টুর্নামেন্টে বিদেশ থেকে আগত খেলোয়ারদের থেকে জেলা ক্লাব গুলির খেলোয়ারদের শেখবারও আহ্বান রাখেন সুব্রত সাহা।
টুর্নামেন্টের খেলোয়ারদের সম্মানিত করবার পাশাপাশি জেলার কৃতি খেলোয়ারদেরও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন উদ্যোক্তারা। যারা নানাভাবেই অবদান রেখেছেন জেলা তথা রাজ্যে, এদিন তাদেরও সম্মান জানান সুব্রত বাবু। পাশাপাশি জেলা জুড়েই মদ বা ড্রাগের নেশায় আচ্ছন্ন যুবসমাজকে নেশার পরিবর্তে ফুটবল খেলতে আবেদন জানান উদ্যোক্তারা। সম্মান জ্ঞাপন শেষে শুরু হয় টুর্নামেন্ট। দুইদিন দুইরাত ব্যাপী খেলা শেষে বিজয়ীরা ছিনিয়ে নেবে কাপ। প্রমাণ রাখবে কৃতিত্বের।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584