পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ
প্রস্তুতি ছিল। রিহার্সাল চলছিল। কিন্তু কোন আধিকারিক বা ছাত্র ছাত্রীর জানা ছিল না, মঙ্গলবারই বসন্ত উৎসব। কার্যত নিরাপত্তা রক্ষীদের ঘেরাটোপে দুর্গের মধ্যে বসন্ত উৎসব পালন অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে। ছিল না সংবাদ মাধ্যমের প্রবেশের অধিকার। আশ্রমিকদের একাংশের মতে, দ্বার বন্ধ রেখে “খোলো খোলো দ্বার, রাখিয়ো না আর/ বাহিরে আমায় দাঁড়ায়ে।” সঙ্গীতের মাধ্যমে বসন্ত বন্দনা।
যদিও বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা জানান, বসন্ত উৎসব ছিল না, আসলে ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মধ্যে হল বসন্ত বন্দনা অনুষ্ঠান। করোনা আবহে গত বছর বসন্ত উৎসব স্থগিত রাখা হয়। তবে এবার বসন্ত উৎসব কবে হবে তা পড়ুয়ারা জানতে পারেন সোমবার সন্ধ্যায়। গৌর প্রাঙ্গণে চিত্রাঙ্গদা হতে পারে বলে জানান এক পড়ুয়া।
উল্লেখ্য, শান্তিনিকেতনে দোলের দিন যে ঋতু-উৎসবটি উদ্যাপিত হয়, তার সঙ্গে দোল বা হোলির ধর্মীয় অনুষঙ্গের কোনও সম্পর্ক নেই। আসলে তা হল ঋতু-উৎসব। কবির বালকপুত্র শমীন্দ্রনাথ ১৯০৭ সালে খেলাচ্ছলে এই ঋতু-উৎসবের সূচনা করেছিলেন। বছরের বাঁধাধরা একটা দিনে আশ্রমে উৎসব হত না এমনটা নয়।
আরও পড়ুনঃ মথুরাপুর থেকে সূচনা হল বাবা ভীমরাও আম্বেদকরের সম্মান যাত্রা
১৯২৩ সালে মাঘী পূর্ণিমায় শান্তিনিকেতনে বসন্ত উৎসব পালিত হয়। ফাল্গুনী পূর্ণিমায় আশ্রম-সম্মিলনীর অধিবেশনে আবারও আয়োজন করা হয়েছিল বসন্ত-বন্দনার। সে বারই শ্রীপঞ্চমীর দিনও আম্রকুঞ্জের সভায় বসেছিল উৎসবের আসর। তাই নির্দিষ্ট দিনে হবে তাও যেমন ঠিক ছিল না, তেমনি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। ১৯৮২ সালে বসন্ত উৎসব স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেন তদান্তীন উপাচার্য অম্লান দত্ত। পরে অবশ্য নিয়ম রক্ষায় বসন্ত উৎসব পালিত হয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584