সিমা পুরকাইত,দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ
গড়ান গেঁওয়া ভরা জঙ্গলে হিংস্র জীবযন্তুদের সঙ্গে বসবাস সুন্দরবন বাসির।দক্ষিন সুন্দরবনের সাতটি ব্লকের মানুষদের অভাব যেন নিত্য সঙ্গি। স্বাধীনতার পর আজও সুন্দরবনে অনেক গ্রাম রয়েছে,যা অনুন্নয়নে ভরা।
আজও বেঁচে থাকতে হয় ঘনজঙ্গলে কাঠ কেটে,মধু সংগ্রহ করে,মীন শিকার করে।বাঘ কুমীড় আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করতে হয় সুন্দরবনের বাসিন্দাদের।মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের পাথর প্রতিমা ব্লকের ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যেপ্রত্যন্ত গ্রাম পঞ্চায়েত পাথর প্রতিমা।
আরও পড়ুনঃ প্রয়োজনীয় অনুমতি নেই ভারতীর গাড়ি বাজেয়াপ্ত,তৃণমূলের বিক্ষোভে মন্দিরে আশ্রয়
খেটে খাওয়া চব্বিশ হাজার মানুষের বাস এই পঞ্চায়েতে।এই পঞ্চায়েতে ২২টি সংসদের মধ্যে তৃনমূল ১৯টি সিপিএম ৩টি দখলে রাখে পঞ্চায়েত নির্বাচনে।বিরোধী থেকে শাসক সবাই দখলদারি রাখলেও আজও অন্ধকারে ভাগবৎপুর,কিশোরীনগর,বরদাপুর,পশ্চিম দারগাপুর এলাকা ।
সপ্তমুখী নদী ঘিরে রয়েছে এই গ্রাম গুলিকে।কোথাও আঁকাবাঁকা মেঠো রাস্তা,কোথাও বা সংস্করনের অভাবে পরে থাকা ইটের হাড় বেড় করা রাস্তা।
যেখান দিয়ে আজও মানুষ যাতায়াত করছে যোগাযোগ মাধ্যমের সেই ঢালাই রাস্তা হয়েছে তবে তাতে সন্তুষ্ট নন এলাকার প্রবীন থেকে নবীনেরা।এলাকার মানুষদের খোভ বিক্ষোভ মান অভিমান সবটা চাওয়া পাওয়া নিয়ে।৩৪ বছরে সিপিএম ক্ষমতা থাকার পর পালাদলের যে সরকার দেখছে,তাতেও সন্তুষ্ট নয় সুন্দরবনে এই এলাকার মানুষজন।তাদের অভিযোগ সপ্তমুখি নদীর তটে ‘দে মার্কেট’ দোকান বসা নিয়ে চলছে সিন্ডিকেট ।
টাকার বিনিময়ে সরকারি জায়গা দখল করছে তৃনমূল অঞ্চল সভাপতি প্রীয় রঞ্জন মাঝি।সরকারি প্রকল্পের আওতায় কিছু পেতে গেলে দিতে হবে টাকা।ইলেকট্রিকের আলো প্রবেশ করেছে ঠিকিই কিন্তু ভরসা করতে হয় সোলার আলোয়।আবার আগের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট দিতে না পারায় ক্ষোভ রয়েছে বেশ কিছু এলাকায়।
ফলে গ্রামে উন্নয়ন তার সঙ্গে হিংসা রাজনীতি দুর করতে মরিয়া এলাকাবাসি।তাদের একটাই আর্জি বন্ধ হক স্বজন পোষন । বন্ধ হোক হিংসা,একদিকে দূর্নীতি।অন্যদিকে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে প্রচারে নেমেছে বিজেপি। পাথরপ্রতিমা অঞ্চল সভাপতি প্রীয় রঞ্জন মাঝির মোটা টাকার তোলাবাজিতে সোচ্চার হয়েছেন বিজেপি রাজনৈতিক দল।
তাই এবার বিজেপিকে মানুষ বেছে নেবে বলে দাবি বিজেপি জেলা পশ্চিম ভাগের সহ সভাপতি সুফল ঘাঁটুর। যদিও বিষয়টি সম্পূর্ন ভিত্তিহিন বলে দাবি পাথর প্রতিমা অঞ্চল তৃনমূল সভাপতি প্রীয়রঞ্জন বাবুর।একাধিক উন্নয়ন হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি ।
রাস্তা ঘাট থেকে পানীয় জল সবটা হয়েছে। ভাগবৎপুর ব্রিজ নির্মিত হচ্ছে।ফলে উন্নয়নকে হাতিয়ার করে আবারো ক্ষমতায় আসতে আশাবাসি তিনি।কর্মীদের ভূল বোঝাবুঝিতে বেশ কয়েকটি গ্রাম বিরোধীদের দখলে, সব অবসান কাটিয়ে জিতে গ্রাম উন্নয়নের ডাক দিয়েছেন পাথর প্রতীমা অঞ্চল তৃনমূল সম্পাদক শরচ মাইতি।তবে শেষ অবধি সুন্দরবনের মানুষ কি রায় দেয় সেটা ফলাফলের দিন প্রকাশ পাবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584