কোচবিহার পুর এলাকায় নতুন কমিটি ঘোষণা ভূষণ সিংয়ের

0
60

মনিরুল হক, কোচবিহারঃ

শুক্রবার সকালে নতুন করে কোচবিহার জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে কোচবিহার শহর পুরসভার ওয়ার্ড ভিত্তিক নতুন কমিটি ঘোষণা করলেন কোচবিহার পুরসভার পুর প্রশাসক, তথা তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা, কোর কমিটির সদস্য ভূষণ সিং।

bhusan singh | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

জেলা সভাপতি পার্থ প্রতিম রায়ের ঘোষণা করা কমিটিকে প্রায় সম্পূর্ণ নাকচ করে নতুন করে কমিটি গঠন করার এই সিদ্ধান্ত তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে পুনরুজ্জীবিত করছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।ভূষণ সিং বলেন, “জেলা সভাপতি একটি মাকাল ফল, আমি ওকে সর্বসম্মতভাবে সমর্থন করেছিলাম, কিন্তু এখন দেখতে পাচ্ছি রাজনৈতিক দক্ষতা ওর একেবারেই নেই।

আরও পড়ুনঃ দার্জিলিং সফরে কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রী

অবিলম্বে পার্থ প্রতিম রায় জেলা সভাপতিত্ব না ছাড়লে তৃণমূল কংগ্রেসের ৯ এ ৯ বিরোধীদের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে।” তিনি প্রায় ৭টি ওয়ার্ড প্রেসিডেন্ট পরিবর্তন করেছেন বলে জানান। ৫,৬, ৭, ১১, ১২, ১৭, এবং ২০ নাম্বার ওয়ার্ডের ওয়ার্ড প্রেসিডেন্ট নতুন করে ঘোষণা করা হয়েছে। যাদের নিয়ে সুষ্ঠু ভাবে কাজ করা যেতে পারে তাদেরকেই কমিটিতে রাখা হয়েছে। নির্বোধের মতো পার্থ প্রতিম রায়ের সিদ্ধান্তকে মেনে নেওয়া সম্ভব নয় বলে তিনি জানান।

এদিন ভূষণ সিং অভিযোগ করে বলেন, এই সমস্ত কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেন হলেও হতে পারে। আমরা অঞ্চল কমিটিগুলোকেও পুনর্গঠন করার চেষ্টা চালাচ্ছি। গোটা জেলা জুড়ে কমিটি গঠনের পরে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা যেভাবে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন তাতে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচন কাঠগড়ায় দাঁড়াতে চলেছে। একই সঙ্গে, শহর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি নিরঞ্জন দত্তকে বিশ্বাসঘাতক বলে ব্যাখ্যা করেছেন ভূষণ সিং।

আরও পড়ুনঃ কোচবিহার রবীন্দ্রভবনের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী

তিনি মন্তব্য করে বলেন, পার্থ যে কমিটি গঠন করেছে তাতে দলীয় কর্মীরা দল ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। বেশিরভাগ কর্মী বসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সুতরাং তড়িঘড়ি এই কমিটি গঠন করা হয়েছে, তা না হলে দলকে বাঁচানো যেত না। তৃণমূল কংগ্রেস সংগঠনকে বাঁচানোর জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।ভূষণ সিং এর কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্তে রীতিমতো শোরগোল পড়েছে কোচবিহার শহর এলাকায়।

বেশিরভাগ পৌর বাসিন্দারা মনে করছেন, এই পরিস্থিতিতে ভূষণ সিং যা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। শহর পৌর এলাকায় পার্থ প্রতিম রায় সাংগঠনিক শক্তি সম্পর্কে কোনও ভাবেই ওয়াকিবহাল নন। কমিটি গঠনের আগে অবশ্যই তার বিধায়ক এবং শহর নেতৃত্বের সাথে কথা বলা উচিত ছিল। এই পুরো ঘটনায় পার্থ প্রতিম রায়কে একাধিকবার টেলিফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here