নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের গ্রুপ অপারেটিং অফিসার ও ম্যানেজিং ডিরেক্টরের উপদেষ্টা পদে আনন্দ সুব্রমনিয়মকে নিয়োগ করেন এনএসই-র এমডি-সিইও চিত্রা রামকৃষ্ণ। আর এই নিয়োগ নিয়েই উঠেছে বড়সড় অনিয়মের অভিযোগ। হিমালয়ের এক সাধুর কথা মেনেই নাকি আনন্দের নিয়োগ ও পদোন্নতি!
২০১৩ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এনএসই-র এমডি-সিইও ছিলেন চিত্রা রামকৃষ্ণ। তাঁর আমলে ন্যাশানাল স্টক এক্সচেঞ্জে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। এর পরেই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত নামে সেবি। সম্প্রতি এই মামলায় একটি ১৯০ পাতার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি (SEBI)। তাতেই জানা গিয়েছে, আনন্দের নিয়োগ থেকে পদোন্নতি কোন ক্ষেত্রেই তাঁর যোগ্যতা বিচার্য বিষয় ছিল না, সবটাই হিমালয়ের এক সাধুর কথা অনুযায়ী করেছিলেন চিত্রা। এই অভিযোগে ইতিমধ্যেই চিত্রাকে ৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এনএসই-তে যোগ দেওয়ার আগে বামার লরিতে বছরে ১৫ লক্ষ টাকারও কম বেতন পেতন আনন্দ। চিত্রার দাক্ষিণ্যে তাঁর এনএসই-তে যোগ দেওয়া এবং বেতন হয় বছরে ১.৬৮ কোটি টাকা। শুধু তাই নয়, দ্রুত পদোন্নতিও হয় তাঁর । তার ফলে বেতন বেড়ে দাঁড়ায় বছরে ৪.২১ কোটি টাকা। এত উচ্চ পদে নিয়োগ করার মত যোগ্যতা বা অভিজ্ঞতা কোনটাই আনন্দের ছিলনা বলে জানা যায়।
আরও পড়ুনঃ দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক প্রতারণায় অভিযুক্ত গুজরাতের সংস্থা এবিজি শিপইয়ার্ড
সেবি-কে চিত্রা জানিয়েছেন, এই সবটাই তিনি করেছিলেন হিমালয়ের এক সাধু ‘শিরোমণি’র পরামর্শ মেনে। ন্যাশানাল স্টক এক্সচেঞ্জের আর্থিক ও ব্যবসার গোপন তথ্যও নিয়ে সাধুর সঙ্গে আলোচনা করতেন বলেও চিত্রা জানিয়েছেন সেবি-কে। এনএসই-র কর্মীদের কাজের মূল্যায়নও চিত্রা করতেন ‘শিরোমণি’র সঙ্গে কথা বলেই।
আরও পড়ুনঃ দিল্লি রায়টে তিন অভিযুক্ত দীপক, প্রিন্স ও শিবকে দোষী সাব্যস্ত করলো আদালত
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584