শ্যামল রায়,কালনাঃ
দিনের পর দিন মহিলা খুন হয়ে যাচ্ছিল কালনা থানা এলাকার বিভিন্ন গ্রামে। কিন্তু প্রকৃত অপরাধীকে পুলিশের হাতের নাগালে চলে গিয়েছিল খুনের ঘটনা। তারপর পুলিশ নড়েচড়ে বসায় ধরা পরে একাধিক খুনের খুনি।
জানা গিয়েছে যে গত জুন মাসের ২ তারিখে কামরুজ্জামানকে বাইক সহ গ্রেফতার করে কালনা থানার পুলিশ।
তার কাছ থেকে একটি ব্যাগে থাকা লোহার চেইন ও রড উদ্ধার করে পুলিশ।গ্রেপ্তারের পরে ওই অভিযুক্ত খুনের ঘটনা পুলিশের কাছে স্বীকার করে এবং একাধিক মহিলাকে খুন করেছে সে জেরায় স্বীকার করে।
আরও পড়ুনঃ পুলিশ হেফাজত সিরিয়াল কিলার কামরুজ্জামানের, ক্ষতিপূরণের দাবি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের
অধিকাংশ খুনের ঘটনায় সে লোহার চেইন ব্যবহার করে মহিলাদের গলায় ফাঁস লাগিয়ে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন করার কথা স্বীকার করে খুনি।
এমনকি বিবস্ত্র করে ওই মহিলাদের খুন করার পর বাড়িতে ফেলে রেখে যেত এমনটাও জানিয়েছে পুলিশের কাছে কামরুজ্জামান।
কালনা ও মন্তেশ্বর থানার পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে খুনের ঘটনার পুনঃ নির্মাণ করেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি মন্তেশ্বর থানার কুন্ডুপাড়া সাধন চট্টোপাধ্যায় নামে এক বৃদ্ধা খুনের ঘটনায় তদন্তে দায়িত্ব বানিয়েছিল সিআইডি সেই কে সে কামরুজ্জামানকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় সিআইডি তাই সিআইডি ওই ওই কামরুজ্জামানকে নিজেদের হেফাজতে নিল।
আরো জানা গিয়েছে যে, কালনা মন্তেশ্বর সহ এলাকার বিভিন্ন গ্রামের মহিলাদের একা বাড়িতে পেয়ে সে একের পর এক খুন এবং লুটপাট চালিয়ে খুন করে চলে আসার ঘটনা ঘটত।
মিটার দেখার নাম করে কোন মহিলার বাড়িতে ঢুকে কাউকে না দেখলে সেই মহিলাকে ধর্ষণ সহ খুন করার পটু হাত ছিল তার।
পুলিশ উদ্যোগ নিয়ে যথেষ্ট তৎপরতার সঙ্গে ওই খুনিকে গ্রেপ্তার করে এবং এখন সিআইডি হাতে নিল ওই কামরুজ্জামানকে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584