করোনা তাড়াতে বেলেঘাটা আইডি-র সামনে বিক্রি আয়ুর্বেদিক জরিবুটি, সড়ালো পুলিশ

0
149

শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ

বিশ্বের তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীদের করোনা থেকে মুক্তির উপায় খুঁজতে মাথার চুল ছেঁড়ার উপক্রম। কিন্তু একজন অতি সাধারণ মুদি দোকানদার তথা ট্যাক্সিচালক নিজস্ব পদ্ধতিতে আয়ুর্বেদিক জরিবুটি দিয়ে করোনানাশক তৈরি করে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের এমার্জেন্সির সামনে। খবর আসতেই তাকে তাড়াল পুলিশ।

coronavirus medicine ayurveda selling in beliaghata | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

করোনা মুক্তির ওষুধ বিক্রিতে মুদি দোকানি তথা ট‍্যাক্সিচালক অরুণ সাউ বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের সামনেই রীতিমত দোকান লাগিয়ে বসেছিলেন। বেলেঘাটা সুভাষ সরোবর এর পাশেই তার মুদি দোকান, সঙ্গে আবার ট্যাক্সিও চালান তিনি। তাঁর দাবি, তিনি এবং তার স্ত্রী দু’জনেই গত বেশ কিছুদিন ধরে করোনা মুক্তির উপায় খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন। সেই মতই নিজের দোকান থেকেই বিভিন্ন উপকরণ, লবঙ্গ,জায়ফল, জয়িত্রি, গুলঞ্চ, গোলমরিচ, তুলসিপাতা, বড় এলাচ, ছোট এলাচ, যষ্ঠীমধু মিশিয়ে মিশ্রণ বানিয়ে শরীর ঠান্ডা রাখার ওষুধ তৈরি করেন। তবে খাওয়ার আগে ১৫ মিনিট ফুটিয়ে খেতে হবে।

coronavirus medicine ayurveda selling in beliaghata | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

আরও পড়ুনঃ করোনা নিয়ে সচেতনতার প্রচারে নামার সিদ্ধান্ত ফরওয়ার্ড ব্লকের

শুক্রবার সকাল থেকেই ছিল বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের সামনে প্রচুর মানুষের ভিড়। সেই সময়েই জরুরি বিভাগের চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করে অরুণ বোঝানোর চেষ্টা করেন, আইডি হাসপাতালে যারা আক্রান্ত সন্দেহে ভর্তি আছে, তাদেরকে যেন তার তৈরি করা ওষুধ খাওয়ানো হয়, তা হলে করোনা নির্মূল হবে। কিন্তু অরুণের অভিযোগ, কেউ তাঁর কথায় কর্ণপাত করেনি। তখনই অরুণ কুমার সাউ টেবিল পেতে আইডি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে বসে পড়েন। টেবিলের ওপরে সাজিয়ে ফেলেন তার ওষুধের সামগ্রী।

তার কথা শুনতে চলে আসেন বহু উৎসাহী মানুষ। মন দিয়ে শুনলেও অরুণকুমারের কথায় প্রভাবিত হয়ে কাউকে ওষুধ কিনতে দেখা যায়নি। বেশিরভাগজনই বলেছেন “এই আয়ুর্বেদিক পাচনে করোনা আটকে যাবে, এমন কোনও প্রমাণ নেই। আমরা বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা করব।” কেউ আবার বলছেন, “কেন্দ্রীয় সরকার করোনা মোকাবিলায় হোমিওপ্যাথি ও আয়ুর্বেদ ওষুধের কথা বলেছেন। কিন্তু তা এখানে ফুটপাথের ওপর কেন বিক্রি হবে?”

আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের মতে, এই ভেষজগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কিন্তু কোনও ড্রাগ কন্ট্রোলার সংস্থাকে দিয়ে অবশ্যই সেটি পরীক্ষা করে বাজারে ছাড়া উচিত। কিন্তু এভাবে রাস্তাঘাটে বিক্রি করা কখনই উচিত নয়। পুলিশ এসে অবশ্য হঠিয়ে দেয় ওই ব্যক্তিকে। যদিও তাতেও দমার পাত্র নন তিনি। ফের অন্য কোথাও পসরা খুলে বসার ইচ্ছা রয়েছে তার।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here