চতুর্ভুজা দেবী দুর্গা পূজিত হন উৎমাই চণ্ডী দুর্গা রূপে কাকড়াশিঙে

0
294

পিয়া গুপ্তা ,উত্তর দিনাজপুরঃ

পূজার শেষ মুহূর্তে চরম ব্যস্ততায় প্রতিটি পূজা মণ্ডপে মণ্ডপে। উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ ব্লকের অন্যতম পূজো গুলোর মধ্যে এটি কাকড়শিং এলাকার দূর্গা পূজো।প্রতি বারের ন্যায় এবারেও নিয়ম নিষ্ঠা মেনেই চলছে পূজোর প্রস্তুতি। শুধু উত্তর দিনাজপুর বাসী নয় কলকাতা, বালুরঘাট সহ দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষছুটে আসে এই পূজো দেখতে।এই পূজোর বিশেষত্ব আরো দশটি পূজো থেকে খানিকটা আলাদা। দেবী দূর্গার দশ ভূজা রূপের দৃষ্টান্ত আমরা বহু দিন ধরে যেনে এসেছি।কিন্তু এখানে দেবী দূর্গা একটুভিন্ন।

নিজস্ব চিত্র

এখানে দেবী দূর্গা চতুর্ভুজা এবং উৎমাই চন্ডী রূপে পূজিত হন।স্থানীয় লোকেদের মুখে জানা যায়  বাংলাদেশের রাজশাহী জমিদারেরা এই পূজোর প্রচলন করেছিলেন প্রায় ৫০০ বছর আগে।দেশ ভাগের আগে জমিদারের এখান কার লোকেদের পূজোর দায়িত্ব দিয়ে যান।এক সময় এই এলাকা জুড়ে ছিল ঘনজঙ্গল সময়ের সাথে এখন এখানে দেবী  উৎমাই চন্ডী পাকা মন্দির স্থাপনহয়েছে।

প্রতিমা নির্মান।নিজস্ব চিত্র

মায়ের নামে নিজস্ব ৭-৮ বিঘা জমি রয়েছে।সেখানে সারা বছর চাষা আবাদকরে এবং সাধারন মানুষের সাহায্যে পূজো হয়। মায়েরা পাঁচ বোন পাঁচ বোন পাঁচজায়গায় আছেন তাঁদের মধ্যে এক বোন হল উৎমাই চন্ডী। শুধু তাই নয় দেবীদের পাঁচবোনের যে পরিবার রয়েছে তাঁদের নামে মন্দির এলাকায় ১৯টি থান রয়েছে সেখানেওপূজো হয় বলে জানান মন্দিরের সেবায়েত  ফলেন দেবশর্মা ।পূজোর চার দিন গোটাগ্রাম জুড়ে চলে নিরামিষ ভোজন।অষ্টমীর ভোরে মন্দিরে ছাগ বলি হয়।এই দেবীর কাছে সাধারন মানুষ যে যার মনস্কামনা নিয়ে আসে মা উৎমাই চন্ডী তা পূরন করেন বলে জানান গ্রামবাসীরা  ।

আয়োজন।নিজস্ব চিত্র

নবমীর দিন মহা খিচুরি ভোগের আয়োজন করা হয়।দশমিতে মিষ্টি মুখ করানোর পরে বিসর্জন দেওয়া হলেও দেবী মূর্তি মন্দিরে থাকে ।কারন  দূর্গা পূজো ছাড়াও মন্দিরে দুইবার পূজো হয় ,দশমির পরে  অষ্টমঙ্গলা পূজো হয় এবং চৈত্র মাসে বাসন্তীরুপে এই প্রতিমাতেই পূজো হয়ে আসছে ।আবার দূর্গা পূজোর আগে নিয়ম অনুসারে বিসর্জন দেওয়া হয়। এই পূজোর সময় পূজো মণ্ডপ এলাকায় মেলা বসে।শুধু উত্তরদিনাজপুর জেলা নয় এই পূজোর সময় আশে পাশে জেলা সহ কোলকাতা ও বিভিন্ন রাজ্যথেকে লোকেরা নিজেদের পুজো দিতে আসেন এবং নিজেদের মনস্কামনা নিয়ে আসেন।মা উৎমাই চন্ডী কাউকে খালি হাতে ফেরান না বলে জানান এখানকার আগত দর্শনার্থীরা । গ্রাম বাসীরা আরোও জানান পূজোর শুরু থেকে নিয়ম মেনে প্রায ১০ দিন পুরো গ্রাম  নিরামিষ খান।শুধু তাই না বাড়ির শুভ কোনো অনুষ্ঠান হলেই সকলেই আগে মায়ের পুজো দিয়েই শুভ কাজের সূচনা করেন।

আরও পড়ুনঃ জঙ্গল পথের রোমাঞ্চ ভ্রমনের জন্য শুরু হতে চলেছে ট্রেকিং

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here