পিয়া গুপ্তা,উত্তর দিনাজপুরঃ
সামনে মা সরস্বতীকে সাক্ষী রেখে ‘এ বাবা সাদি করাই দে এ বাবা সাদি করাই দে’ গানের সাথে তাল মিলালেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডির এডু সিটি বিএড কলেজের শিক্ষক শিক্ষিকারা।আর এই ছবি বাজারে ছড়িয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হয়ে গেল। কুশমন্ডির এডু সিটি বিএড কলেজের সুস্থ সংস্কৃতি নামে অপসংস্কৃতি।
সরস্বতী পূজায় সবাই জানে বিদ্যার দেবীর কাছে প্রার্থনা করে অঞ্জলি দেয় এবং বিদ্যার দেবীর কাছ থেকে আশা করে যাতে ভবিষ্যতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে বিদ্যার দেবী তাদের আশীর্বাদ করেন।তবে আজ যেভাবে কলেজের শিক্ষক শিক্ষিকারা বিদ্যার দেবীকে সামনে রেখে বাবা সাদি করাই দে ,বাবা সাদি করাই দে,ভোজপুরি চটুল গানের সঙ্গে নাচ করলেন তাতে পরিস্কার বোঝা গেল যে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মানসিকতা কি।সকলের প্রশ্ন বিদ্যার দেবীর কাছ থেকে এটাই কি আজ শিক্ষাঙ্গনের শিক্ষক শিক্ষিকারা চাইল?তবে আজকের দিনে সবই সম্ভব।যেটা করে দেখালো বিএড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকারা।আজ তারা সমাজের কাছে নয়া দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।বিদ্যার দেবী সরস্বতীকে বৃষ্টি-মুখোর দিনে বরন করা হলো উদ্দাম নৃত্য ও ভোজপুরী গান দিয়ে। বিদ্যার দেবীর সামনে এহেন নৃত্য সামাজিক অবক্ষয় বলে মনে করেছেন অনেক সমাজবিদ্ ও শিক্ষাবিদ।এমনি অশ্লীল নৃত্যের সাক্ষী থাকল কুশমন্ডি ব্লকের Educity B.Ed College,যেখানে দেখা যাচ্ছে কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কোমর দুলিয়ে নাচ যা রীতিমত নেট দুনিয়ায় ভাইরাল। “মোর আঠারো সাল হয়ে গেলিক রে” এই গানের সাথে শিক্ষক রা কোমর দুলিয়ে দেবী সরস্বতীকে বরন করে নিলেন।মানুষ নাচ গানে অংশ নেবেন এটাই স্বাভাবিক প্রবৃত্তি কিন্তু যদি সেটা কলেজের ভিতরে ভোজপুরী গানের সমারোহে শিক্ষক শিক্ষিকার কোমর দুলানো নাচ হয়,তখনি বেশি সমালোচনার ঝড় ওঠে।এক্ষেত্রেও তারা মানুষ তৈরীর কারিগর।ফলে সমালোচনা হচ্ছে আরোও বেশি।
আরও পড়ুনঃ সরস্বতী পুজোর উদ্বোধনে মশারি বিতরণ
এপ্রসঙ্গে,কুশমন্ডি পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ তথা শিক্ষক রেজা জাহির আব্বাস বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংস্কৃতি ধ্বংস হয়, এমন নৃত্য কাম্য নয়।” খবর লেখা পর্যন্ত সেই কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা সাংবাদিককে ফোন করে খবর না ছাপানোর জন্য হুমকি দেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584