শ্যামল রায়,কালনাঃ
দীর্ঘদিন ধরে কালনা ২ নম্বর ব্লকের বেহুলা নদীর উপর কোন পাকা সেতু নেই।এলাকার বাসিন্দারা দাবি তুলেছেন পাকা সেতু তৈরির।অথচ প্রতিদিন এই বেহুলা নদীর উপর ভাঙাচোরা একটা বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের।
ফাঁক ফাঁক করে লাগানো কয়েকটা বাঁশ দিয়ে তৈরি সাঁকো রয়েছে মাত্র।সামান্য অসতর্ক হলেই বাঁশের সাঁকো থেকে ছিটকে জলে পড়ে যাবার সম্ভাবনাই প্রবল রয়েছে।কবে নাগাদ পাকা সেতু তৈরি হবে এলাকার মানুষ অন্ধকারে রয়েছেন।
তবে জানা গিয়েছে যে এই বেহুলা নদীর উপর পাকা সেতু তৈরীর জন্য একটি প্রস্তাব সেচ মন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে।জেলা পরিষদের উন্নয়ন কমিটির সদস্য প্রণব রায় ও সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক জানিয়েছেন যে সেতু তৈরীর জন্য ইতিমধ্যে আমরা একটি প্রস্তাব রাজ্যের সেচ মন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি আশা করব অনুমোদন হলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে।বেহুলা নদীর উপর এই বাঁশের সাঁকোর ভরসাতেই পর পর বছর কাটাচ্ছেন কালনা ২ নম্বর ব্লকের কল্যাণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চারটি গ্রামের বাসিন্দারা। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি সেতুটির পাকা করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আমরা দাবি করে আসছি আশা করব বর্তমান সরকার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবে।বেহুলা নদীর উপর পাকা সেতু না থাকার কারণে প্রতিবছর বর্ষা সময় চরম দূর্ভোগে পড়তে হয় আমাদের এমনটাই অভিযোগ বাসিন্দাদের।
পাকা সেতু তৈরি না হবার ফলে অগত্যা ঘুর পথে যাতায়াত করতে হয় এলাকার বাসিন্দাদের।কালনা ২ নম্বর ব্লকের কল্যাণপুর পঞ্চায়েতের কেলেনেই ,মালিকেলেনেই,একচাকা,ও সর্ব মঙ্গলা গ্রামের মানুষ এই ভাবেই কখনো প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে থাকেন আবার কখনো ঘুরপথে যাতায়াত করে থাকেন।
যদিও অন্যপারে রয়েছে সর্বমঙ্গলা গ্রাম।সর্বমঙ্গলা গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন যে তাদের বেশিরভাগ জনেরই চাষের জমি আছে মালিকেলেই গ্রামের মধ্যে।তাই তাদের নিত্য যেতে হয় ওই গ্রামে চাষ করার জন্য।আবার অন্যদিকে তিন গ্রামের বাসিন্দাদের স্কুল কলেজ বাজার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতে হয় এই নদী পারাপার হয়ে।
ভাঙাচোরা বাঁশের সাঁকো ব্যবহার না করলে ঘুরপথে যেতে হয় প্রায় দুই কিলোমিটার পথ।আবার বেহুলা নদী ওই এলাকারই রাহাতপুর গ্রামে কে দুভাগ করে দিয়েছে।স্থানীয় পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে যে বর্ষার সময় সাঁকো বেহাল হয়ে পড়ে।কিন্তু ওই চার গ্রামের বাসিন্দাদের চরম সমস্যা হয় বিশেষ করে বর্ষাকালে।
তাই বেহুলা নদীতে পাকা সেতুর দাবিতে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরো পড়ুনঃ কালিয়াগঞ্জের ইয়ং অ্যাথলেটিক ক্লাবের খুঁটি পুজো
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584