শ্যামল রায়,কালনাঃ
এবছর পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত ঘটেনি তাই আমন ধান বাঁচাতে মরিয়া চাষিরা।জল সংকট দেখা দেওয়ায় চিন্তিত এলাকার চাষিরা।দিনরাত চালাচ্ছেন অগভীর এবং গভীর নলকূপ।ফলে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ বিল আসার কারণে লোকসানের ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন চাষীরা।জানা গিয়েছে যে মন্তেশ্বর এলাকায় বিদ্যুতের বিল ব্যাপকহারে এসে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়ায় এক হাজার বিঘের চাষীরা চরম সংকটের মুখে পড়েছেন।এই নিয়ে অবরোধ থেকে শুরু করে প্রশাসনিক বৈঠক সবকিছুই হয়েছে কিন্তু বিদ্যুৎ দপ্তর এর বিল না মেটানো পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হবে না এমনটাই বিদ্যুৎ দপ্তর সূত্রে খবর।যদিও জেলা প্রশাসন একটি বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে যে সমস্ত এলাকায় বিদ্যুৎ বিল না দেওয়ার কারণে অগভীর নলকূপের সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে সেখানে চাষিরা আবেদন জানালে শর্তসাপেক্ষে বিদ্যুৎ দপ্তর দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করবে। মন্তেশ্বর সহ জেলার বিভিন্ন ব্লক কে অজস্র অগভীর নলকূপের সংযোগ দেয়া হবে বলে খবর।জানা গিয়েছে যে জল সম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের হিসেবে জেলার অর্ধেক ব্লক সেমি ক্রিটিক্যাল।সেখানে অতিরিক্ত জল তোলা মানেই বিপদ অথচ বৃষ্টির দেখা না মেলায় আমন চাষ বাঁচাতে ভূগর্ভের জল তুলতে হচ্ছে চাষীদের।
জেলার বেশিরভাগ মানুষের জীবিকা চাষবাস।
কৃষি দপ্তর সূত্রে আরো জানা গিয়েছে যে বৃষ্টি অনিয়মিত হওয়ার কারণ এই মাটির নিচে জল তোলার পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে ভালো বৃষ্টির অভাব থাকার কারণে ক্রমশ নামছে জলস্তর তাই আড়াই মাস ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় বর্তমানে জল সংকট চরম আকার নিয়েছে।কালনা ২ নম্বর কাটোয়া ১ নম্বর ও দুই নম্বর কেতুগ্রাম ১ ও ২ মন্তেশ্বর প্রভৃতি সেমি ক্রিটিক্যাল জোন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে গিয়েছে।মাটির তলা থেকে জল তুলতেই হচ্ছে কিন্তু বৃষ্টি না হলে রবি মৌসুমের আলু চাষ শীতকালীন আনার চাষ প্রায় বন্ধের মুখে হবে বলে মনে করছেন এলাকার চাষিরা।
জেলার কৃষি কর্তারা জানিয়েছেন যে এরকম পরিস্থিতিতে আমরা চাষীদের ধান আলুর এলাকা কিছুটা কমিয়ে কম জল লাগে এমন ডাল ও তৈল বীজ চাষের পরামর্শ দিচ্ছেন।
আরও পড়ুনঃ এ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় মৃত্যু এক,আহত ৫ জন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584