নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় সালবনি সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই হাতির তাণ্ডবে অতিষ্ঠ গ্রামবাসীরা।বিঘার পর বিঘা জমি দাঁতালের পায়ের তলায় চলে যাওয়ায় চিন্তার ভাঁজ চাষীদের কপালে।সালবনি রেঞ্জের অন্তর্গত শালবনী,গড়মাল,পাথর কুমকুমি সহ মেদিনীপুর, চাদড়া,ময়ূর ঝর্ণা রেঞ্জে প্রায় দেড়শ টি হাতি ঘোরাফেরা করছে।খাবারের তাগিদে কখনো তারা গ্রামের মধ্যে ঢুকে পড়ছে আবার যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করছে ফলন হওয়া জমিকে।
এতে একদিকে গ্রামে বসবাস এক্ষেত্রেও যেমন তৈরি হচ্ছে আতঙ্ক তেমনি আধপাকা অবস্থাতেই তুলে নিতে হচ্ছে কাঁচা ধান।এতে একদিকে যেমন ক্ষতির মুখে পড়ছে চাষীরা তেমনি তৈরি হচ্ছে মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা।বনদপ্তর থেকে বারবার আশ্বস্ত করা হলেও অভিযোগ নেওয়া হচ্ছে না কোনো পদক্ষেপ।ইতিমধ্যেই হাতি এবং মানুষের মধ্যে সম্পর্ক আরো নিবিড় করতে বেশ কয়েক দফা কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে বনদপ্তর এর তরফ থেকে,কিন্তু এর পরও দাঁতালের তাণ্ডব থেকে রক্ষা পাচ্ছে না নিরীহ চাষিরা। লক্ষ্মী লাভের আশা তো দূরঅস্ত এখন জীবিকা নির্বাহের সামান্য প্রচেষ্টা ও প্রায় বৃথা হতে চলেছে।আর এই নিয়ে ক্ষোভ জন্মাচ্ছে চাষীদের মধ্যে।ইতিমধ্যেই দাঁতালের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের সরকারি সহায়তা দেবে বলে ঘোষণা করেছে বনদপ্তর তথা রাজ্য সরকার । নিয়ম অনুযায়ী সরকারের কাছে আবেদন করলেই ক্ষতিপূরণ মিলবে বলে জানিয়েছেন বনদপ্তর এর এক আধিকারিক তবে এরপরেও চাষীদের সমস্যা কি লাঘব হবে!সেটাই দেখার বিষয়।
আরও পড়ুনঃ মন্দিরের সেন্টারিং পাটা খুলতে গিয়ে মৃত্যু
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584