কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকায় মাথায় হাত চাষীদের

0
74

পিয়া গুপ্তা,উত্তর দিনাজপুরঃ

farmer damage for the central government's direction
হরিদাস বিশ্বাস,ভুক্তভোগী কৃষক।নিজস্ব চিত্র

কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া নির্দেশিকায় আচমকা চাষ আবাদ বন্ধ হওয়ার মুখে কুলিক পক্ষী নিবাস এর বনাঞ্চল সংলগ্ন প্রায় ৪০ জন কৃষকের।এই নির্দেশিকার জন্য সমস্যায় পড়তে চলছে আরও প্রায় ১০০ বিঘা জমির মালিক প্রায় ৫০০ জন কৃষক।

farmer damage for the central government's direction
বিশু মুর্মু,বন বিভাগের কর্মী।নিজস্ব চিত্র

ডিভিশনাল ফরেষ্ট অফিসার দ্বিপর্ণ কুমার দত্ত জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের গেজেট নটিফিকেশন অনুযায়ী আমরা নিষেধ করছি, আমাদের কাছে কেন্দ্রীয় সরকারের যা নির্দেশ তাই আমরা লাঘু করতে চলেছি। তবে কৃষকদের একেবারে নিষেধ করা হয়নি কিছু ব্যাপারে সামান্য বিধি নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু কৃষকদের অভিযোগকে কার্যত সত্যি মান্যতা দিয়ে বনবিভাগের বিএস পদে কর্মরত বিশু মুর্মু ক্যামেরার সামনেই জানিয়েছেন তারা কৃষকদের চাষাবাদে নিষেধ করছেন।

আরও পড়ুনঃ মাশরুম চাষ করে বিকল্প আয়ের পথে বালুরঘাটের চাষীরা

farmer damage for the central government's direction
কাশেম আলী,ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক।নিজস্ব চিত্র

রায়গঞ্জ ব্লকে অবস্থিত কুলিক পক্ষী নিবাসের বিশাল বনাঞ্চল এলাকার এই নিষেধাজ্ঞায় বেশ কিছু কৃষকের মাথায় হাত পড়ে গেছে,কেন্দ্রীয় সরকারী এক ফরমানের জন্য।কৃষক বলতে রাজ্য সরকারের দেওয়া পাট্টার জমির কৃষক। দীর্ঘদিন ধরে সরকারের দেওয়া ওই জমিতে চাষাবাদ করে অন্য সংস্থান করে আসছিলেন। কিন্তু আচমকা বনবিভাগের কিছু কর্মী চলতি মরশুমে তাদের চাষে বাধাদান করছে বলে অভিযোগ করেন কৃষকরা।

farmer damage for the central government's direction
ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন কৃষি সহায়ক যন্ত্র কৃষক গীরেন্দ্র বিশ্বাস।নিজস্ব চিত্র

ঘটনাস্থল কুলিক বনাঞ্চলের আব্দুলঘাটা এলাকায় গিয়ে জানা যায় বনাঞ্চলের মধ্যে থাকা পাট্টায় পাওয়া কৃষি জমিতে চাষ আবাদ করতে বাধা দিচ্ছেন বন বিভাগের কর্মীরা।দেখা হয় বিশু মুর্মু নামে এক বনকর্মীর সাথে,বিশু বাবু জানান আমাদের উপর মহল থেকে নির্দেশ এসেছে, সেই মোতাবেক আমরা কৃষিকাজে বারন করছি।সব মিলিয়ে হরিদাস বিশ্বাস, কাশেম আলী দের মত পাট্টাদার কৃষকদের মাথায় হাত পড়েছে।কেউ মাঠের সরিষা তুলতে বাধা পাচ্ছেন,তো কেউ শুকিয়ে যাওয়া ধান ক্ষেতে জল দেওয়ার জন্য পাম্প মেশিন নিয়ে জমিতে এসেও মাঠে জল দিতে বাধা পেয়ে পাম্প মেশিন ঘুড়িয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে।

farmer damage for the central government's direction
জমি রইবে অনাবাদী।নিজস্ব চিত্র

রায়গঞ্জের ডিভিশনাল ফরেষ্ট অফিসার দ্বীপর্ণ কুমার দত্তর কাছে এই সমস্যার বিষয়ে জানতে গেলে,দ্বীপর্ণ বাবু জানান ২২ শে নভেম্বর ২০১৮ কেন্দ্রীয় সরকারের জারি করা গেজেট নির্দেশিকা অনুযায়ী আমরা রাসয়ানিক সার বিষ, ও ট্রাকটরের ব্যবহার বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করেছি। আগামী দিনে কুলিক বনাঞ্চল লাগোয়া ১০০ মিটার জমিতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।কারন এটাই কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ।

farmer damage for the central government's direction
দ্বীপর্ণ কুমার দত্ত,ডিভিশনাল ফরেষ্ট অফিসার।নিজস্ব চিত্র

প্রশ্ন উঠছে ১০০ মিটার জমিতে যদি জৈব পদ্ধতি ও সাবেক নিয়মে চাষ করতে হয় তবে তারা অন্যান্য কৃষকদের থেকে পিছিয়ে পড়বে৷কেন কেন্দ্রীয় সরকার এমন নির্দেশ দিলেও কৃষকদের জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগী ব্যবস্থা করা হচ্ছে না সরকারের তরফে?যদিও এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here