সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
দুই যমজ বোনের লড়াই।একজন থাকে সাবেকী পরিবারের মধ্যে অন্যজন বারোয়ারির মত বৃহত্তর পরিবারে।এক বোন বুদবুদ অন্য বোন মানকর। হাওড়া-দিল্লি রেলপথ এবং ২ নম্বর জাতীয় সড়ক দুই গ্রামের মধ্যের সীমারেখা।পাশাপাশি বাস করলেও প্রশাসনিক বা সামাজিভাবে দুই বোনের মধ্যে রয়েছে সূক্ষ লড়াই।যেমন মানকর কলেজ, হাসপাতাল পেয়েছে, বুদবুদ পেয়েছে থানা, সরকারী দপ্তর। দুর্গাপূজার সময় এই লড়াই হয়ে ওঠে পারিবারিক বনাম বারোয়ারি।বুদবুদের সার্বজনীন পুজোগুলির মধ্যে সুকডাল মোড়ের সংহতি,চেম্বার অফ কমার্সের পুজো, সুকান্তনগরের অগ্নিবীণা,বুদবুদ গ্রামের আমরা ক’জন,নবোদয় সঙ্ঘের পুজো ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলেছে প্রতিবারের মতোই।ছাত্র সমিতির পুজোয় থাকে বিশেষ আকর্ষণ।
কুমোরটুলির প্রতিমা এবং পুজোর দিনগুলিতে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।অধিকাংশ মন্ডপ কাল্পনিক মন্দির বা থিমের পুজো।সাথে কখনো ডোকরার কাজ কখনো চন্দননগরের আলোকসজ্জা।অন্যদিকে পারিবারিক পুজোর প্রাধান্য মানকরে।ভিন্নতা রয়েছে দেবী পুজোর উপকরণ নিয়েও।কোথাও হয় দেবীর মুখমণ্ডল পুজো,কোথাও পুতুলের পুজো,দেবীর সাথে আসেনা লক্ষী,গণেশ, কার্তিক,সরস্বতী।আছে কবিরাজ বাড়ি, বিশ্বাস বাড়ির মত তিনশো বছরের পুরনো সাবেকী পুজো।স্থানীয় বাসিন্দারা অবশ্য খুশি এই লড়াইয়ে।তাদের মতে,একদিকে সাবেকী অন্যদিকে সার্বজনীন এই দুই ধারার পুজো দুই গ্রামের মানুষ নিজের মতো করে উপভোগ করে।মানকরের নুপুর মেটে বলেন,বড় শহরের পুজোর মত অত বাজেট হয়ত এই দুই বোনের পুজোগুলিতে নেই।কিন্তু বিশেষ অন্তরিকতাই পুজোগুলির প্রধান আকর্ষণ ও ত্রুটিহীন করে।
আরও পড়ুনঃ ঠাকুর দেখতে নতুন ট্রেন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584