পঁয়ত্রিশ বছরের বিরল ভেষজের উদ্যান,২১ ফেব্রুয়ারি শ্রীবৃদ্ধির শপথ

0
57

তপন চক্রবর্তী,উত্তর দিনাজপুরঃ

Forty year-old birley herbal garden
নিজস্ব চিত্র

ঐতিহাসিক ভাষা দিবসের পবিত্র প্রভাতে বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এএএসএম নামাঙ্কিত ভেষজ উদ্যানের পঁয়ত্রিশতম বার্ষিকী অত্যন্ত উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হল।জানা যায় ১৯৮৪সালে সাবেক রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজে ২১শে ফেব্রুয়ারী চার অধ্যাপক ও অধ্যাপিকার নামের আদ্যাক্ষর দিয়ে এই ভেষজ উদ্যানের নামকরণ হয় এএএসএম ভেষজ উদ্যান।সাবেক রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজের প্রয়াত অধ্যাপক ও অধ্যাপিকারা হলেন যথাক্রমে অমিয় কুমার ভট্টাচার্য্য, অজিত কুমার দাস,মায়াবী ঘোষ এবং শর্মিলা ভট্টাচার্য্য।

Forty year-old birley herbal garden
প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক অধ্যাপিকাদের স্মরণ।নিজস্ব চিত্র

রায়গঞ্জ বিশ্ব বিদ্যালয়ের এএ এসএম ভেষজ উদ্যানের বর্তমান সম্পাদক তন্ময় চৌধুরী বলেন আজকের দিন থেকে ৩৫বছর পূর্বে যে চারজন প্রয়াত অধ্যাপক ও অধ্যাপিকাগন যে উদ্যোগ ও যে স্বপ্ন নিয়ে এই বিরল উদ্যান তৈরী করেছিলেন তাদের এই উদ্যোগকে শুধু সাধুবাদই জানাবো না তাদের এই ধরনের অসাধারন চিন্তা ভাবনার জন্য তাদের জন্য রইলো কুর্নিশ।তন্ময়বাবু বলেন ৩৫বছর পূর্বে আমাদের বিশ্ব বিদ্যালয়ের চার নক্ষত্র দুষ্প্রাপ্য ভেষজ উদ্ভিদ সংরক্ষণের জন্য যে অসাধারন চিন্তাকে বাস্তবে রূপ দিয়েছিল এটা আমাদের কাছে গর্বের।আমরা তাদের এই উদ্যোগ ও স্বপ্নকে স্বার্থক করে এই ভেষজ উদ্যানকে শুধু এরাজ্যের মধ্যেই নয় সারা ভারতবর্ষের মধ্যেই নয় বিশ্বের দরবারে যাতে রায়গঞ্জ বিশ্ব বিদ্যালয়ের এই ভেষজ উদ্যান প্রথম সারিতে স্থান পায় আমরা সেই চেষ্টার ত্রুটি করবো না।

আরও পড়ুনঃ আধুনিক শিশু উদ্যানের উদঘাটন অনুষ্ঠানে বনমন্ত্রী

Forty year-old birley herbal garden
নিজস্ব চিত্র

যেমন করেই হোক এই বিশ্ব বিদ্যালয়ের উন্নতমানের পঠন পাঠনের সাথে উন্নতমানের বিরল একটি ভেষজ উদ্যান করবার জন্য যা যা করা উচিত আমরা তা করবই।আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এ ব্যাপারে। রবৃহস্পতিবার সকালের এই অনুষ্ঠানে যারা উপস্থিত হয়ে অনুষ্ঠানের শ্রীবৃদ্ধি ঘটিয়েছেন সেই সমস্ত অতিথিরা হলেন রায়গঞ্জ বিশ্ব বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ডঃ দুর্লভ সরকার, অধ্যাপক ডঃতাপস পাল,অধ্যাপক ডঃ অমিতাভ মন্ডল, গৌতম বসাক,প্রাক্তন অধ্যাপক ফনিন্দ্র কুমার মন্ডল, সুনীল সরকার,সুভাষ দাশগুপ্ত এবং এনভায়রো মেন্টাল কনযাকসন সেন্টারের ডিরেক্টার প্রদীপ দাস মহাপাত্র।খোঁজ নিয়ে জানা যায় এক সময় এই ভেষজ উদ্যানে বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করে এনে সংরক্ষণ করা হয়েছিল এমন কিছু দুষ্প্রাপ্য ও বিরল ভেষজ গাছ যার ফলে এই কলেজের সুনাম এক সময় ছড়িয়ে ছিল সর্বত্রই।কিন্তু কোন অজ্ঞাত এক কারনে ভেষজ উদ্যানটির গুরুত্ব হারিয়ে যায়।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here