দুর্নীতিগ্রস্থ সদস্যই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী, বেলডাঙ্গায় ক্ষুব্ধ সৎ তৃণমূল কর্মীরা

0
471

শুভময় সেন, বেলডাঙ্গাঃ দুর্নীতির বিরুদ্ধে নয় দুর্নীতির পক্ষে তৃণমুল সরকার। এমনটাই মনে করছেন এই দলের কর্মীরাই। এবারের পঞ্চায়েত ভোটে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গার মির্জাপুর ১-এর পঞ্চায়েত সমিতির আসনে তৃণমুলের প্রার্থী রবিউল ইসলাম। তার বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ। এবং এই অভিযোগ তৃণমুল সুপ্রিমোর ও জানা। এমন কথা বিরোধী দলের কেউ নয়, বেলডাঙ্গার তৃণমুলীরাই বলছেন। তাঁরা বলছেন ব্লক তৃণমুল নেতৃত্বের একাংশ, পঞ্চায়েত প্রধান ও ব্লক অফিসের কিছু কর্মীর সাথে যোগসাজসে গ্রামের ৫২জনের সাথে ইন্দিরা আবাস যোজনায় প্রতারণা করেছেন রবিউল ইসলাম।এনিয়ে জেলা নেতৃত্ব সহ তৃণমূল সুপ্রিমোকে পর্যন্ত অভিযোগ জানিয়েছেন তারা। আর সেই প্রতারকই কিনা ভোটের টিকিট পেয়েছেন জেলা নেতৃত্বের সুপারিশে কালীঘাট থেকে।এতেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন বেলডাঙ্গার তৃণমুলের অন্য অংশ। তাদের কথায় “আমাদের আর মান থাকলো কৈ? কি বলবো গ্রামবাসীদের। রবিউলের প্রতারণার কথা ঘরে ঘরে জানা”। তারা আরও বলছেন “গ্রামবাসীরা ভরসা করে এই দলটা করত।তারাই রবিউলের বিরোধীতা করছেন।“

দরখাস্তের প্রতিলিপি

মুখে কিছু না বললেও মনে মনে গ্রামবাসীরা যে দলের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না তা জেনেই নির্দল হিসেবে গ্রামের হিদারুল ইসলাম কে ঐ আসনে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছে বিক্ষুব্ধ তৃণমুল।

দরখাস্তের প্রতিলিপি

তাছাড়াও হিদারুল শুধু তৃণমূলের প্রার্থী নয়। জেলায় সে পরিচিত অঙ্কের শিক্ষক হিসেবে। তাদের কথামত “সবকিছু ঠিক থাকলে এই সৎ ভাবমূর্তীর হিদারুলেরই দলীয় প্রতীকে এই আসনে দাঁড়ানোর কথা ছিল। দলের ব্লক স্তরে এমনটাই কথা হয়েছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে।“ কিন্তু দলের মাথাদের কথামতো হিসেব না মেলায় এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে তাদের। গ্রামবাসী রাও তাদের সাথে আছেন বলে মনে করছেন তারা। তাই জয়ের ব্যাপারেও তারা আশাবাদী। আর জেলা নেতৃত্ব সব জেনেও এখানকার নির্দলকে প্রার্থীপদ তুলে নিতে চাপ ও দিতে পারছে না। পাছে দলের ছেঁড়া কাপড় বাইরে বেড়িয়ে পরে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here