নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা ও পরামর্শ সংস্থাদাতা প্রতিষ্ঠান ফ্রিডম হাউসের বার্ষিক প্রতিবেদন ‘ফ্রিডম ইন দ্য ওয়ার্ল্ড ২০২১ ডেমোক্রেসি আন্ডার সিজ’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে বুধবার। ১৯৫টি দেশ ও ১৫টি অঞ্চলের ওপর তৈরি এই প্রতিবেদনে মুক্ত, আংশিক মুক্ত, মুক্ত নয়- এই তিনটি বিভাগে নম্বর দেওয়া হয়েছে। সেখানে স্বাধীন থেকে ক্রমশ আংশিক স্বাধীন দেশে পরিণত হচ্ছে ভারত অর্থাৎ নাগরিক অধিকার একেবারে মুক্ত নয় বরং আংশিক মুক্ত। ওয়াশিংটন ভিত্তিক বিশিষ্ট থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ফ্রিডম হাউস এমনটাই জানিয়েছে।
গ্লোবাল রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, “২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে ক্ষয় হচ্ছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশের স্বাধীনতা।“ এই রিপোর্টে ভারতে মুসলিমদের উপর ‘ভিন্ন দৃষ্টি’, ‘হামলা’, ‘রাষ্ট্রদ্রোহ আইন’, লকডাউন ইত্যাদি বিষয়গুলিকেও তুলে ধরা হয়েছে।
বিশ্বের মুক্তমনা দেশগুলির বিচারে ১০০ এর মধ্যে ভারতের প্রাপ্ত নম্বর ৬৭, যা আগে ছিল ৭১। ফ্রিডম হাউসের রিপোর্টে বলা হয়েছে, “মোদীর হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকার মানবাধিকার সংস্থাগুলির উপর ক্রমবর্ধমান চাপ তৈরি করছে। শিক্ষাবিদ ও সাংবাদিকদের ভয় দেখানো হচ্ছে। মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই পতন আরও জোরদার হয়েছে। করোনা ভাইরাস অতিমারীর সময়ে সরকারের প্রতিক্রিয়া নাগরিকদের বেশ কিছু মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে।“
আরও পড়ুনঃ সরকারের বিরুদ্ধে ভিন্নমত পোষণ করা দেশদ্রোহিতা নয়ঃ সুপ্রিম কোর্ট
সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট এই সংস্থা জানিয়েছে ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরে মুসলিমদের ওপর হিংসাএবং বৈষম্যমূলক নীতি ক্রমশ বেড়েছে। হ্রাস পেয়েছে নাগরিক সমাজের মত প্রকাশের স্বাধীনতা। ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেনের মত দেশগুলি এক’শয় এক’শ পেয়েছে এই বিষয়গুলিতে। ভারতকে স্বৈরতন্ত্রের দিকে চালিত করছে মোদী সরকার- এমনটাই বলা হয়েছে রিপোর্টে।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে রিপোর্টে উঠে এসেছে “হেট স্পিচ”-এর বিষয়টিও।
আরও পড়ুনঃ স্ত্রী স্বামীর সম্পত্তি নয়ঃ সুপ্রিম কোর্ট
ফ্রিডম হাউসের গবেষণা মূলক প্রতিবেদনটি বলছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর অনুগামীরা সমালোচকদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ভাবে আক্রমণ চালিয়ে গিয়েছে। দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের কোনো উন্নতি তো হয়ইনি উল্টে অবনতি হয়েছে। ২০২০ সালে দেশে রাজনৈতিক ও নাগরিক স্বাধীনতা যেমন ছিল, ২০২১ সালে এসে সেই অবস্থার নেতিবাচক পরিবর্তনই হয়েছে মাত্র।
রিপোর্টে উঠে এসেছে কোভিডের সময় অপরিকল্পিত লকডাউনের বিষয়টিও। রিপোর্টে বলা হয়েছে, সরকারের অপরিণামদর্শী, পরিকল্পনাবিহীন লকডাউন ঘোষণায় বিপর্যস্ত হয়েছে বহু মানুষের জীবন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584