শ্যামল রায়,নদীয়াঃ
দুর্গা পুজোর শেষে বাঙালির বড় উৎসব লক্ষ্মীপূজো।এই লক্ষ্মী পুজো ঘিরে নদীয়া জেলার সর্বত্র এলাকার মানুষ মেতেছিলেন।তেহট্ট ছিল নৌকা বাইচ।নদীয়ার কল্যাণী থেকে করিমপুর বেথুয়াডহরী পলাশী নাকাশিপাড়া কৃষ্ণনগর শান্তিপুর রানাঘাট বগুলা নবদ্বীপ প্রভৃতি স্থানে লক্ষ্মীপুজো আরাধনার রমরমা কারবার চোখে পড়েছে।
তেহট্ট থানার কুষ্টিয়া গ্রামে ধুমধাম করে মা লক্ষ্মীর আরাধনা হয়েছে।এই গ্রামে ছোট বড় মিলিয়ে লক্ষী পূজোর সংখ্যা হয় প্রায় পঞ্চাশটি। এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন যে এই গ্রামে মায়ের চেয়ে মেয়ে লক্ষ্মীর কদর সবথেকে বেশি তাই লক্ষ্মী আরাধনায় মেতেছিলেন গ্রামের বাসিন্দারা।লক্ষী পূজোয় দর্শনার্থী টানতে ক্লাব ও পারা গুলির মধ্যে ছিল তীব্র প্রতিযোগিতা।
অন্যদিকে এখানকার অন্যতম আকর্ষণ বিসর্জনের দিন নৌকাবাইচ যা ৩৫ বছর ধরে চলে আসছে।
এলাকার বহু যুবক বাইরে কাজ করতে যান তাই দুর্গাপুজোয় মেলে না ছুটি লক্ষ্মী পুজোয় বাড়ি এসে মেতে ওঠেন দুর্গা উৎসবের মত লক্ষ্মী পুজোতে।গ্রামের লক্ষী পূজোর মধ্যে সবথেকে পুরনো নিরাপদ ঘোষের বাড়ির পুজো,এই পুজো করছে ৫২ বছরে ধরে।পরিবারের সদস্য জনার্দন ঘোষ জানিয়েছেন যে ধুমধাম করে লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন হয় এবং পাড়ার লোকদের খাওয়ানো হয়।এছাড়াও বাধ পড়া বারোয়ারি পুজো এবার ৩৬ তম বছরে পড়ল।গ্রামের সবকটি লক্ষ্মী পুজো ঘিরে আলোকসজ্জার পাশাপাশি মণ্ডপসজ্জা ও চোখ ধাঁধানো।গ্রামের সিঁদুর তলা বাড়ির পুজো এবার ১৭ তম বছরে পা দিয়েছে ক্লাবের সদস্য দেবাশিস মন্ডল জানিয়েছেন আমাদের বাজেট ২ লক্ষ টাকা তাই আমাদের আলো ও মন্ডপ দেখতে মানুষের ঢল নামে।অন্যদিকে পূর্বপাড়া বারোয়ারি পুজো এবার ১৪ তম বছরে পা দিয়েছে এখানকার সদস্য অনুরাগ মন্ডল জানিয়েছেন যে আমাদের লক্ষ্মি পুজোর সঙ্গে থাকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এছাড়াও রয়েছে আমরা কজন, বুলেট ক্লাব,উত্তর পাড়া বারোয়ারী রবীন্দ্রসঙ্গীত পূজাও মানুষের মন জয় করে বলে দাবি উদ্যোক্তাদের।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার অর্থাৎ বিসর্জনের দিক জলঙ্গি নদীতে নৌকা বাইচ দেখতে নদীর দু’পাড়ে প্রচুর মানুষ ভিড় করেন।পুজোর আনন্দে শামিল হতে গ্রামের বাইরে কর্মরত যুবকরাও ফিরে এসে এই আনন্দ উপভোগ করেন লক্ষী পূজোয় সব থেকে বড় আনন্দ এবং বড় উৎসব জানিয়ে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।করিমপুরের আলোকপাত ক্লাবের পূজো এবার ৬০ তম বর্ষে পা দিলো।এছাড়া রাসের শহর নিবদ্বীপ শহরে প্রচুর পারিবারিক লক্ষ্মীপূজো ধুমধামের সাথে পালিত হল।এছাড়াও কৃষ্ণনগরে কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে জগদ্ধাত্রী পুজোর তাই লক্ষী পূজোর খামতি নেই,লক্ষ্মী পুজো মূলত পারিবারিক পুজোর মধ্যেই আবদ্ধ রয়েছে কিন্তু বেশ কয়েকটি জায়গায় বারোয়ারি লক্ষ্মীপূজো কে ঘিরে ধুমধামের সাথে আনন্দে মেতে উঠলেন ঐ সব এলাকার মানুষ।তেহট্ট এর কুষ্টিয়া গ্রামে ধুমধামের সঙ্গে লক্ষ্মীর আরাধনা এবং আকর্ষণ থাকবে নৌকা বাইচ।
আরও পড়ুনঃ বেহুলা লক্ষিন্দরের প্রতীকী বিয়ের অনুষ্ঠান
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584