বিল সংক্রান্ত ঝামেলায় হেনস্থার মুখে মেডিকা হাসপাতাল, স্তম্ভিত চিকিৎসকরা

0
85

শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ

কোনও পরিচয় না দেখে এবং নিয়মের বাঁধন না দেখিয়ে গুরুতর আহত এক যুবককে নিয়ে আসা মাত্রই হাসপাতালে ভর্তি করে নিয়েছিল বাইপাসের ধারে মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল।

কিন্তু এই প্রথম মানবিকতা দেখিয়ে এবং চিকিৎসায় কোনওরকম গাফিলতি না করেও হেনস্থা হতে হল চিকিৎসকদের। এমনকি চিকিৎসাধীন ওই যুবকের কিছু পরিচিত যুবক এসে হাসপাতাল ভাঙচুরও করে। শুক্রবার রাতের গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছেন চিকিৎসকরাই।

screenshot | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে মুকুন্দপুরের ২৫ নম্বর গঙ্গানগর এলাকার বাসিন্দা সোনু দাস মদ্যপ অবস্থায় মেডিকা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন। তার ঘাড় ও কানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল এবং অবস্থা সঙ্কটাপন্ন ছিল। তার এক মদ্যপ বন্ধুও সেই সময় তার সঙ্গে হাসপাতালে আসে।

এসেই তারা চিকিৎসা শুরুর জন্য অনুরোধ করতে থাকে। পাড়ার কোনও ঝামেলা বুঝতে পেরেও মানবিকতার খাতিরে ওই যুবকের চিকিৎসা শুরু করে কর্তৃপক্ষ। গভীর আঘাত নিয়ে ওই যুবকের চিকিৎসা শুরু করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিক ভাবে ১০ হাজার টাকা জমা করা হয়।

আরও পড়ুনঃ হ্যাশট্যাগ বিজেপি ম্যালাইনস বেঙ্গল রাজ্যপালের বিরুদ্ধে টুইট লড়াইয়ে তৃনমূল নেতারা

এদিকে, যুবকের আঘাত গুরুতর হওয়ায় পরে বড় রকমের সঙ্কটও দেখা দিতে পারত। অস্ত্রোপচারের সঙ্গে ওই যুবকের লালারস সংগ্রহ করা হয়। সন্ধ্যায় দেহরসের নমুনার যে রিপোর্ট আসে, তাতে পরিষ্কার বলা হয়েছিল, ওই যুবক করোনায় আক্রান্ত। যথারীতি ওই যুবককে দ্রুত করোনা ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়। নিয়ম মতো স্বাস্থ্যভবনকেও বিষয়টি জানানো হয়। পরিকল্পনা হয় শনিবার সকালেই রোগীকে সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে। স্বাস্থ্যদফতরও এ ব্যাপারে সহযোগিতা করে। কিন্তু এরপরই বিপত্তি বেঁধে যায়।

শুক্রবার রাত ১০টা নাগাদ সোনুর ৬ থেকে ৭ জন মদ্যপ বন্ধু হাসপাতালে ঢুকে আসে। তারা অভিযোগ তোলে যে তাদের বন্ধুকে হাসপাতাল ইচ্ছাকৃতভাবে করোনা রোগী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। হাসপাতাল মিথ্যা রিপোর্ট তৈরি করেছে। হাসপাতাল অতিরিক্ত পরিমাণ বিল করেছে বলেও অভিযোগ ওঠে।

আরও পড়ুনঃ গড়িয়া শ্মশান কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে বললেন রাজ্যপাল, খোঁচা দিলেন মহুয়াকেও

ওই অভিযোগে তারা হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালানোর চেষ্টা করে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাচ্ছে দেখে খবর দেওয়া হয় স্থানীয় পূর্ব যাদবপুর থানায়। বিষয়টি জানানো হয় পুলিশ কমিশনারকেও। এরপরই হাসপাতলে পুলিশ অশান্তি সৃষ্টিকারী যুবকদের আটক করে।

খবর পেয়ে ডিসি (ইস্ট ডিভিশন) গৌরব লাল স্থানীয় থানার অফিসারদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। রাতের দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here