সজিবুল ইসলাম, মুর্শিদাবাদঃ
মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে অল্পবয়সে সংসারের হাল ধরতে কাজের সন্ধানে ভিন রাজ্য পাড়ি দিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গী থানার ফরিদপুর অঞ্চলের ফরিদপুর নতুন পাড়ার বছর তিরিশের পিংকু সেখ। প্রায় ২০ বছর যাবত ভিন রাজ্যে কাজ করেই সংসার চালাচ্ছিলেন তিনি। মাঝে মধ্যে বাড়ি আসা তার পরে বিবাহ করে সংসার শুরু করা।এক মেয়ে ও এক ছেলে ও স্ত্রী কে নিয়ে ভালই চলছিল। মেয়ের বিয়েও দিয়েছেন কেরলে কাজ করে ।
প্রথমে রাজমিস্ত্রির লেবারের কাজ করতেন।তার পরে গত এক মাস আগে বাড়ি থেকে ঘুরে গিয়ে কাঠাল পাড়ার কাজ শুরু করেন কেরলের এক স্থানীয় ব্যবসায়ীর সঙ্গে। গত ১২ এপ্রিল রাত্রিতে কাঠাল কেটে ছোটো গাড়িতে তুলে ফিরছিলেন। গাড়িতে ছিলেন চালক ও পিংকু দুজনেই । হঠাৎই দ্রুত গতিতে একটি বাস এসে ধাক্কা মারে গাড়িতে। স্থানীয়রা দুর্ঘটনার শব্দ শুনে ছুটে এসে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক গাড়ির চালককে মৃত বলে ঘোষণা করেন,ও পরিযায়ী শ্রমিকের অবস্থার অবনতি হলে বেসরকারি এক হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানেই দুদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মৃত্যু হয় পিংকু সেখের, এমনটাই জানা গিয়েছে পরিবার সূত্রে।
আরও পড়ুনঃ আত্মবিশ্বাস ও মনের জোরের কাছে হার মানে সমস্ত বাধা বিপত্তি, প্রমাণ করলো উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী
মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের স্ত্রী সরকারি সাহায্যের আবেদন করেন ।এই পরিস্থিতে স্বামীর দেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসার মত সামর্থ্য তাঁর নেই বলে জানান।এবং পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী তিনিও চলে গেলেন।এখন কি ভাবে সংসার চলবে আর ছেলে কে কি ভাবে মানুষ করবেন সেই কথা ভেবে দিশে হারা হয়ে পড়েছেন স্ত্রী সহ পরিবারের সদস্যরা। অনেক প্রতীক্ষার পরে দীর্ঘ পাঁচ দিন পরে গত মঙ্গলবার অর্থাৎ ১৯ এপ্রিল সকাল ৫টার সময় গ্রামের বাড়িতে মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ পৌঁছালে কান্নায় ভেংগে পড়ে গোটা পরিবার সহ এলাকার মানুষ। এদিনই পরিযায়ী শ্রমিকের দাফনের কাজ সম্পূর্ণ করা হয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584