করোনা চিকিৎসার ব্যাপক ঘাটতি, রাজ্যের সব হাসপাতালে নয়া নির্দেশিকা স্বাস্থ্য দফতরের

0
80

শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ

মার্চের পর ৫ মাস বাদে আবার পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে ভয়ঙ্কর দাপট দেখাতে শুরু করেছে করোনা ভাইরাস। এই মুহূর্তে রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে কোভিড চিকিৎসার সঠিক প্রোটোকল না মানলে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ নিয়ন্ত্রণহীন পরিস্থিতির দিকে চলে যেতে পারে।

Health Department | newsfront.co
ফাইল চিত্র

ইতিমধ্যেই বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শনে স্বাস্থ্যকর্তারা দেখেছেন, রাজ্যে করোনা চিকিৎসার ক্ষেত্রে এ রাজ্যে বেশ কিছু ‘ঘাটতি’ রয়েছে। আর এই ঘাটতি সংক্রমণ ও মৃত্যু বৃদ্ধির মূল কারণ হয়ে উঠতে পারে। তাই রাজ্যের সব হাসপাতালে কোভিড প্রোটোকল নিয়ে নয়া নির্দেশিকা পাঠাল স্বাস্থ্য দফতর।

নয়া নির্দেশিকায় করোনা রোগীদের অক্সিজেন প্রয়োজনীয়তা পর্যবেক্ষণ, অ্যান্টি কোয়াগুলেন্ট ব্যবহার করে আইসিইউ-তে ভর্তি রোগীদের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া, সরকারের প্রস্তাবিত ওষুধের বাইরে বাকি ওষুধ ব্যবহার নিষিদ্ধ করার মতো বিষয়গুলি বিশেষভাবে উল্লিখিত হয়েছে। কিভাবে কোভিড রোগীদের প্রোটোকল মেনে চিকিৎসা হবে, তা নিয়ে হাসপাতালগুলিকে ৯ টি নির্দিষ্ট পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।

আরও পড়ুনঃ করোনা পরিস্থিতিতে বাতিল এনআইওএস ২০২০ পরীক্ষা

ওই নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ভর্তির সময় হার্টের অস্বাভাবিকতা পরীক্ষা করতে ইসিজি এবং রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা পরিমাপের জন্য এবিজি (ধমনী রক্তে অক্সিজেন পরিমাপ) পরিচালনা করুন; অক্সিজেনের স্যাচুরেশন স্তর এবং রক্তচাপকে “পর্যবেক্ষণ” করতে হবে। শ্বাস প্রশ্বাসের হার, স্যাচুরেশন এবং রক্তে শর্করার মাত্রার দৈনিক তথ্য এবং শারীরিক অগ্রগতি সম্পর্কিত নথিগুলি জমা করতে হবে।

রোগীর দেহে স্টেরয়েডস এবং অ্যান্টিকোগুল্যান্টস ‘নিয়ম অনুযায়ী’ নির্দিষ্ট ডোজ মেনে দিতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে জটিল অবস্থায় অ্যান্টিকোয়াগুলেন্ট দেওয়া যেতে পারে। তবে রক্তক্ষয় হচ্ছে কিংবা কিডনির সমস্যা রয়েছে এমন রোগীর ক্ষেত্রে তা ব্যবহার করা যাবে না।

আরও পড়ুনঃ কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বঞ্চিত শ্রমিকদের আওতায় আনার আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে

আইসিইউতে থাকা রোগীদের ‘প্রোণ অ্যাওয়েক ভেন্টিলেশন’ বা উপুড় হয়ে শুয়ে থাকা অভ্যাস করাতে হবে। সমস্যা বাড়লে তখন ভেন্টিলেশনের যে প্রক্রিয়া আছে তা চালু করতে হবে। অ্যান্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহার করতে হবে। সরকারি নির্দেশিকাগুলিতে যে ইমিউনোসাপ্রেসিভ ওষুধ নিষিদ্ধ করা রয়েছে সেগুলি পরীক্ষামূলক ভিত্তিতেও ব্যবহার করা যাবে না।

করোনা সন্দেহ রয়েছে এমন রোগীদের আইসোলেশন ওয়ার্ডেই রাখতে হবে জেনারেল ওয়ার্ডে রাখা যাবে না। রোগীদের সঠিকভাবে পরীক্ষার ক্ষেত্রে সুপার স্পেশালিটি দল অর্থাৎ নেফ্রোলজি এবং পালমনোলজি বিভাগের চিকিৎসকদের থাকতে হবে। করোনা ভাইরাস মহামারী সংক্রমণ রোধে চিকিৎসকদের দায়িত্ব কতটা, তা ফের একবার উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here