শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
রাস্তায় মদ্যপদের সামলাতে গিয়ে রাতের কলকাতায় অল্পস্বল্প হেনস্থা হতে হয় পুলিশকে। কিন্তু শনিবার রাতে বিদ্যাসাগর সেতুর নিচে হেস্টিংস মাজারের কাছে এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে ইট দিয়ে থেঁতলে খুন করার অভিযোগ উঠল বেশ কয়েকজন মদ্যপের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত ইরশাদ হোসেন ওরফে মহম্মদ সানি ময়দান থানার সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন। সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি ঘোড়ার ব্যবসাও ছিল তাঁর। গতকাল থানায় ডিউটি ছিল না। কিন্তু ঘোড়াকে খাবার দিতে যাচ্ছেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন একবালপুরের বাসিন্দা ইরশাদ।
এলাকায় প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, শনিবার মধ্যরাতে ওই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি দেখে তা থামাতে যান মহম্মদ ইরশাদ। সেইসময় পিছন থেকে ইরশাদের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করেন এক যুবক। এরপর বিদ্যাসাগর সেতুর লোহার পাটাতনেও বেশ কয়েকবার তাঁর মাথা ঠুকে দেওয়া হয়। অচৈতন্য অবস্থায় তিনি রাস্তায় লুটিয়ে পড়লে পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে পালিয়ে যায় মদ্যপরা।
আরও পড়ুনঃ চলন্ত ট্রেন থেকে অজয় নদে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল গার্ডের
এরপর স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করেন। তড়িঘড়ি এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। এদিকে অনেকক্ষণ কেটে গেলেও বাড়ি না ফেরায় উদ্বিগ্ন হয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে তারা জানতে পারেন, ইরশাদকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। চিকিৎসকরা জানান, মাথার পিছনে আঘাতের ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ শহরে বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম
এই ঘটনার পরেই তদন্ত শুরু করে ময়দান থানার পুলিশ। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় হেস্টিংস মাজারের পাশে নাকি প্রায়ই মদের আসর বসায় কয়েকজন যুবক। তল্লাশি চালিয়ে এখনও পর্যন্ত তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। ওই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। শুধুই মদের ঝোঁকে বচসার জেরে খুন, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে ইদের রাতের এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে স্বাভাবিক ভাবেই ভেঙে পড়েছেন ইরশাদের পরিজনরা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584