শচীন সূত্রধর, পুরুলিয়াঃ
পরিযায়ী শ্রমিকের আকস্মিক মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো বাঘমুন্ডি এলাকায়। জানা গেছে, মৃত ওই শ্রমিকের নাম রাকেশ মাহাতো(২১)। বাড়ি বাঘমুন্ডি থানার মাঠা অঞ্চলের রাঙামাটি গ্রামে।

জানা গেছে, এবছরের শুরুতে রাকেশ মাহাতো তার গ্রাম থেকে কর্ণাটক রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন। তারপর করোনা মহামারির ভয়াবহতার জন্য মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে জারি হয় লকডাউন। তাই আর বাড়ি ফেরত আসা হয়নি তার । লকডাউন পর্ব শেষ হওয়ার পরেও কিন্ত তাকে তার কারখানা থেকে আসতে দেওয়া হয়নি।

৩০শে সেপ্টেম্বর বাড়িতে শেষ ফোন করেন। তারপর থেকে আর যোগাযোগ করা যায়নি তার সাথে ৷ হঠাৎ বাড়ির লোক তার মৃত্যু সংবাদ পান ৷ খবর শুনেই তার দাদা ছুটে যান কর্ণাটকে । বৃহস্পতিবার সেখান থেকে তার মৃতদেহ পৌঁছায় বাঘমুন্ডি থানায়।
আরও পড়ুনঃ রূপনারায়ন নদী থেকে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার
মৃতদেহ পৌঁছালে মৃতের পরিবার ও গ্রামের কিছু লোক থানায় গিয়ে তার মৃত্যুর ঘটনাকে পুরো চক্রান্ত করে মেরে ফেলা হয়েছে বলে ক্ষোভ দেখান। তারা থানার পুলিশকে খুব শীঘ্রই মৃত্যুর পুরো ঘটনার তদন্ত করার জন্য অনুরোধ করেন । এদিকে বাঘমুন্ডি থানার পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পুরুলিয়াতে পাঠান।
আরও পড়ুনঃ জলঙ্গিতে রাস্তায় ধানের চারা লাগিয়ে বিক্ষোভ বাম ছাত্র – যুবদের
যেসব ছেলেরা সেখানে তার সাথে আগে কাজ করতো তারা বলেন, ওখানকার যে ঠিকাদার ও সুপারভাইজার ছিল, তিনি তাদের বাড়ি আসতে আটকানোর জন্য বিভিন্ন চেষ্টা করত এমনকী দেহে আঘাত পর্যন্ত করা হতো ৷মৃতের মা বলেন, যারা আমার ছেলের এমন অবস্থা করেছে তারা যেনো উপযুক্ত শাস্তি পায় ৷
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584