নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রামঃ
আজ ‘হুল’ দিবস। করোনা আবহে যাবতীয় সতর্কতা মেনে ঐতিহাসিক দিনটিকে পালন করল আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তর। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের মধ্যে কমপক্ষে ছ’ফুটের দূরত্ব বজায় রেখে মঙ্গলবার সাঁওতাল বিদ্রোহের দুই অমর শহিদ সিধো ও কানহোর স্মরণে সরকারি মূল অনুষ্ঠানটি হল ঝাড়গ্রামের কেচন্দা প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। হুল আন্দোলনের রক্তক্ষয়ী ইতিহাসকে স্মরণ করলেন ঝাড়গ্রাম জেলা।
মঙ্গলবার সারা রাজ্যের সঙ্গে ১৬৫ তম হুল দিবস উদযাপিত হল ঝাড়গ্রামে। ১৬৫ তম বর্ষ হুল দিবস উদযাপন উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় ঝাড়গ্রাম ব্লকের কেচন্দা প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মঙ্গলবার হুল দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় উপস্থিত থেকে বীর শহীদ সিধু কানুর প্রতিকৃতি ফুলের মালা দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুনঃ মহামারি পরিস্থিতিতে ষষ্ঠতম জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য
এর পরেই বন দপ্তরের অকশন হলে দলীয় বৈঠকে যোগ দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী বিরবাহা সরেন টুডু, বিধায়ক দুলাল মূর্মূ, চূড়ামণি মাহাত সহ তৃন মুলের প্রথম সারির নেতা নেত্রী বৃন্ত । এদিনের বৈঠকে দলীয় কাজকর্ম নিয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুনঃ বিধাননগরে নির্মীয়মান অডিটোরিয়াম পরিদর্শনে রবীন্দ্রনাথ
১৮৫৫ সালে আজকের দিনেই ‘সিদো, কানহু, বীরসা’ নেতৃত্বে জ্বলে উঠেছিল সাঁওতাল বিদ্রোহের আগুন। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে ও ভারতবর্ষকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে ছোটনাগপুরের মালভূমি অঞ্চল থেকে সেই আগুন ক্রমাগত ছড়িয়ে পরছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহ ইংরেজ শাসনের ভীতকেও নাড়িয়ে দেয়। আন্দোলনে শহীদ হন আদিবাসী নেতা সিদো, কানহু। সেই থেকে প্রতিবছর ঐতিহাসিক হুল আন্দোলনের হাজারো শহিদের আত্মবলিদানকে স্মরণ করে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584