সুদীপ কুমার খাঁড়া,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
মঙ্গলবার জি বাংলার জনপ্রিয় শো “রান্নাঘর”এ রাঁধুনী হিসেবে হাজির ছিলেন মেদিনীপুরের তলকুইয়ের বাসিন্দা পায়েল দাস।নিরামিষ পদ পাঁপড়ের কালিয়া রান্নার পাশাপাশি সঞ্চালিকা অপরাজিতার সাথে কথাবার্তাতেও বেশ সপ্রতিভ ছিলেন পায়েল।কথায় কথায় জঙ্গলমহলের গিধিনেতে জন্মানো বছর ৩২-এর পায়েল জানালেন শান্ত জঙ্গলমহলে কাটানো তাঁর ছোটবেলার ডানপিটে দিনগুলোর কথা – কোন কোন দিন বিকেলে বাদাম ভাজা হাতে জঙ্গলে ঢুকে পড়া। পায়েল জানালেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হয়ে কাজ করতে গিয়ে এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় তিনি দেখেছেন এখনও জঙ্গল মহলের প্রত্যন্ত এলাকায় নানা সমস্যা রয়েছে। আরও জানালেন তেরো বছর আগে শ্বশুর বাড়িতে এসে শ্বশুরের হাতে প্রথম রান্না শেখার কথা।
মিনিট পনেরর শো এর মাঝেই মশলা পাঁপড়, সাদা তেল, গোটা জিরে, পেঁয়াজ কুচি, টমেটো কুচি, আদা বাটা, রসুন বাটা, হলুদ গুঁড়া, বড় সাইজের আলু ভাজা, চিনি, নুন, ভিনিগারে ম্যারিনেট করা শুকনো লংকার পেষ্ট, আর জল দিয়ে বানিয়ে ফেললেন পাঁপড়ের কালিয়া। যা গরম ভাতের সঙ্গে যেমন খাওয়া যাবে তেমনি রুটি, লুচি, বা পরোটার সাথে তরকারি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। বৌমার পারফরম্যান্সে খুশি শাশুড়ি সন্ধ্যা দাস, শ্বশুর বঙ্কিম দাস সহ পাড়া প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবেরা। মাকে টিভিতে দেখে ছোট্ট অভিরূপ দাসও বেশ উৎসাহিত। পায়েলের স্বামী অরিন্দম দাস জানান, তাঁর সহধর্মিণী রান্নাটা বরাবরই ভালো করেন।আর টিভিতে সপ্রতিভ স্ত্রীকে দেখে খুশি অরিন্দম বাবু।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584