শুভশ্রী মৈত্র, ওয়েব ডেস্কঃ
গত বছর করোনা অতিমারি মোকাবিলায় তৈরি হয় মোকাবিলায় পিএম-কেয়ার্স তহবিল তৈরি হয়েছিল। শুধু যে প্রধানমন্ত্রী তার চেয়ারম্যান, তা নয়। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী তহবিলের অছি পরিষদের সদস্য। তার ওয়েবসাইটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি রয়েছে। নামের সঙ্গে জাতীয় প্রতীক অশোক স্তম্ভও রয়েছে। ঠিকানাও প্রধান মন্ত্রীর দপ্তরের। কিন্তু এটি কেন্দ্রীয় সরকারি তহবিল নয় এবং এই তহবিলের ওপর কেন্দ্রীয় সরকারের কোন সরকারি নিয়ন্ত্রণ নেই।
এই গোটা বিষয়টি সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন আইনজীবী সম্যক গাঙ্গোয়াল। তাঁর আবেদন ছিল, আদালত যদি মেনে নেয় যে পিএম-কেয়ার্স তহবিল কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন নয় তা হলে সেখানে প্রধানমন্ত্রীর ছবি এবং জাতীয় প্রতীক অশোক স্তম্ভের ব্যবহার বন্ধ করা হোক।
আরও পড়ুনঃ ব্রিটেনের মান্যতা কোভিশিল্ডকে, কিন্তু ভারতীয়দের জন্য কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক
উল্লেখ্য, পিএম-কেয়ার্স ফান্ডে চাঁদা দেওয়ার বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে সরকারি খরচে, এমনকি কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারী, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, ব্যাঙ্কের কর্মীদের বেতন কেটে তহবিলে টাকা জমা করা হয়েছে। রেল থেকে বিদেশ মন্ত্রক, শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রক- সরকারের প্রতিটি মন্ত্রকই কোটি কোটি টাকা এই তহবিলে অনুদান হিসেবে জমা করেছে। এতদিনে তহবিলের অডিট হয়নি, এসব নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন তোলেন বিরোধিরা।
আরও পড়ুনঃ অবশেষে ইরা বসুর পেনশন চালু করল নবান্ন, ‘নমিনি’ হলেন বুদ্ধদেব-কন্যা সুচেতনা
অবশেষে আদালতে হলফনামা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের আন্ডার সেক্রেটারি প্রদীপ কুমার শ্রীবাস্তব দিল্লি হাই কোর্টে হলফনামা দিয়ে দাবি করেছেন, এই তহবিলে বাজেট থেকে কোনও অর্থ বরাদ্দ করা হয় না। শুধু মাত্র স্বেচ্ছায় অনুদানই জমা পড়ে। সংবিধান বা সংসদের তৈরি কোনও আইনের মাধ্যমে এই তহবিল তৈরি করা হয়নি। কংগ্রেস-সহ বিরোধী শিবিরের প্রশ্ন, পিএম-কেয়ার্সের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কোনও সম্পর্ক না থাকলে তিনি কেন একটা বেসরকারি তহবিলে চাঁদা জোগাড়ের জন্য নিজের পদের অপব্যবহার করেছেন? দিল্লি হাই কোর্টে প্রধান বিচারপতি ডি এন পটেলের বেঞ্চে ২৭ সেপ্টেম্বর এই মামলার শুনানি হবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584