শিবশঙ্কর চ্যাটার্জ্জী,দক্ষিণদিনাজপুরঃ
‘জেলের ঘানি টানা’ শব্দগুলি এখন অতীত হলেও বর্তমানে বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে আপনিও পেতে পারেন সংশোধনাগারের বন্দীদের দ্বারা তৈরী খাঁটি সরিষার তেল। কারন বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের বন্দীদের দ্বারা সংশোধনাগারের ভিতরেই তৈরী হচ্ছে সরিষার তেল।
প্রায় মাস ছয়েক পূর্বে বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের সুপারের উদ্যোগে শুরু হয় মেশিন বসিয়ে সরষের তেল তৈরী। প্রথমদিকে এই তেল তৈরীর উদ্দেশ্য শুধুমাত্র সংশোধনাগারের বন্দীদের জন্য খাবার রান্নার তেল চাহিদার জোগান দেওয়া থাকলেও সংশোধনাগারের প্রয়োজনের তুলনায় দিন উত্তর বেশী পরিমান তেল তৈরী হওয়ায় বালুরঘাট সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই বন্দীদের দ্বারা মেশিনের মাধ্যমে তৈরী সরিষার তেলকে বাজারজাত করার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে।
তবে এক্ষেত্রে সংশোধনাগারে তৈরী সরিষার তেলকে বাজারজাত করবার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ফাসাই সার্টিফিকেট। যে সার্টিফিকেট মিললে খোলা বাজারে বিক্রি হবে সংশোধনাগারের বন্দীদের দ্বারা তৈরী সরষের তেল। বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার সূত্রে খবর যেহেতু বন্দীরা এই বিষয়ে বিশেষ কোন প্রশিক্ষণ পায়নি সেই কারনে এই তেল তৈরীর খরচ একটু বেশী হলেও বর্তমান বাজারের ভেজালের বাড়ন্তের মাঝেও এই সরষের তেল কিন্তু একশো শতাংশ খাঁটি। অপরদিকে এও জানা গেছে সংশোধনাগারে তৈরী এই তেল বাজারজাত করা সম্ভব হলে একদিকে যেমন খাটি সরষের তেলের বাজার চাহিদা তৈরী হবে তেমনি এর পিছনে রয়েছে সরকারের রাজস্ব দারুণভাবে বাড়ার সম্ভাবনাও।
আরও পড়ুনঃবুনিয়াদপুরে সিএএ বিরোধী আন্দোলন সিপিএমের
বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের সুপার অশোক চক্রবর্তী বলেন মুখ্য উদ্দেশ্য আবাসিকদের হাতের কাজ শিখিয়ে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে সামিল করা। তিনি জানান সংশোধনাগার থেকে বন্দীরা যখন বেরিয়ে গিয়ে সমাজ জীবনে মিশবে তখন যাতে তারা(আবাসিকরা) রোজগার করে খেতে পারে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584