সুদীপ পাল, বর্ধমানঃ

প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোর অভাব থাকায় বাইরে থেকে যন্ত্রাংশ আমদানি করতে হচ্ছে। এই কারণেই মার খাচ্ছে কুলটি ওয়াগান কারখানার উৎপাদন। আধুনিকীকরণের প্রস্তাব সেল এবং রাইটসের যৌথ উদ্যোগে পাঠানো হয়েছে। ২০১০ সালের ৩০ অক্টোবর তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেল এবং সেলের যৌথ উদ্যোগে শিলান্যাস করেন কারখানার। এরপর সাত বছর বন্ধ করে থাকা ইস্কোর কুলটি কারখানার ২ ও ৩ নম্বর বিভাগে এই কারখানা চালু হয়।

১২০০ নতুন ওয়াগন তৈরি হবে এবং ৩৫০ পুরনো ওয়াগেনের সংস্কার হবে তা ঠিক হয়। ২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর প্রথম এই কারখানায় ১৬টি ওয়াগনের পুরনো একটি রেক সংস্কারের জন্য আনা হয়। সেই পথ চলা শুরু হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ওয়াগন সম্পূর্ণ করতে গেলে ‘বগিসেট’ ও ‘হুইলসেট’ দরকার হয়। প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো না থাকায় এই যন্ত্রাংশগুলি বানানো যাচ্ছে না। ফলে অন্য জায়গা থেকে সেগুলি আমদানি করতে হচ্ছে। তার জেরেই কারখানার নিয়মিত উৎপাদন মার খাচ্ছে।
জানা যাচ্ছে এই দুটি যন্ত্রাংশের অভাবে মাসে ৪০টির বেশি তৈরি করতে পারা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে ওয়াগন কারখানা পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য সেল কর্তৃপক্ষের কাছে আধুনিকীকরণের প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন সিইও।
আরও পড়ুনঃ এনআরসি ইস্যুতে তৃণমূলের বিক্ষোভ মিছিল
জানা যায়, প্রস্তাব পাঠানোর পরে সেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল নিয়ে কারখানা পরিদর্শন করে যান। কারখানার জেনারেল ম্যানেজার সুশান্ত ভট্টাচার্য জানান, উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলেও গত অর্থবর্ষে প্রায় ৭০ কোটি টাকা লাভ হয়েছে। বছরে ১২০০ ওয়াগন তৈরি হলে লাভের অঙ্ক বাড়বে বলে তাঁর মত।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91-9593666485