নিজস্ব সংবাদদাতা,মালদহঃ
শিশু চুরি ও কিডনি পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে এক মহিলা সহ পুরুষকে ধরে গণপিটুনির পর পুলিশের হাতে তুলে দিল এলাকাবাসীর। শুক্রবার রাতে মালদা জেলার হব্বিপুর থানার আইহো এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। তবে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে আরো দুই পান্ডা দাবী স্থানীয়দের। ঘটনায় এদিন তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।অভিযুক্তদের আটক করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হব্বিপুর থানার পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানাগিয়েছে, বেশ কিছুদিন থেকে আইহো এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিল অপরিচিতি চার জনের একটি দল।এই দলে রয়েছে দুই পুরুষ ও দুই মহিলা সদস্য।বাড়ি বাড়ি গিয়ে তারা নিজেদের ইলেকট্রিক মিস্ত্রির পরিচয় দিচ্ছিলেন।গত দুই দিন আগে ছাতিয়ানগাছী গ্রামের বাসিন্দা দুলালী হালদারের নাতি রোহিত হালদার নামক একটি শিশুকে প্রলোভন দেখিয়ে অপরণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।তারপর সেই শিশু এই পাচার চক্রের গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে বাঁচে।এই ঘটনা গ্রামে জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় গ্রামে।এরপর শুক্রবার রাতে একটি ম্যাজিক গাড়ী নিয়ে অভিযুক্তরা গ্রামে আসে। সন্ধেহ হলে এলাকাবাসী জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।গ্রামের বাসিন্দারা ধরে ফেলেছে দেখে ওই দলের এক মহিলা ও এক পুরুষ সদস্য পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।তবে গ্রামবাসীর হাতে ধরা পড়ে যায় অপর দুই জন।জিজ্ঞাসাবাদে উত্তর না পেয়ে অভিযুক্তদের গণপিটুনি চালায় উত্তেজিত গ্রামবাসী।
পরে স্থানীয়রা খবর দেয় হব্বিপুর থানায়। পুলিশ এসে রক্তাক্ত অবস্থায় দুই জনকে উদ্ধার করে পুলিশ।ত অভিযুক্তদের গাড়িটি উত্তেজিত জনতা টাঙ্গর নদীতে ফেলে দেয়।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের গাড়ি থেকে চাকু,কাঁচি সহ অজ্ঞান করার ওষুধ উদ্ধার হয়েছে।ধৃতরা শিশু চুরি করে কিডনি পাচার চক্রের সঙ্গেই জড়িত বলে অনুমান।এদিন তারা শিশু চুরির উদ্দেশ্যেই এলাকায় হাজির হয়েছিল।হবিবপুর থানার পুলিশ ধৃতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা করেন।তবে এখনো ধৃতদের সঠিক পরিচয় জানা যায়নি।ধৃত মহিলা ও পুরুষকে নিজেদের হেফাজনে নিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হবিবপুর থানার পুলিশ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584