নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ
অবশেষে পুটু পিসির বিয়ের দিন হাজির। সুকল্যাণের সঙ্গে দীর্ঘকালের প্রেম একপ্রকার ভেঙেই গিয়েছিল। হঠাত অন্য হাওয়া এসে ঠিক করে দিল সবকিছু। সুকল্যাণের বন্ধুর স্ত্রী দেবলীনার কাছ থেকে সবটা শুনে সুকল্যাণের উপর থেকে সব অভিমান, ভুল বোঝাবুঝি সরিয়ে ফেলে পুটু পিসি অর্থাৎ মেঘমালা মুখার্জি। এই ঘটনা জানেন গুনগুনপ্রেমী সকলেই।
এবার বহুদিনের প্রতীক্ষার পর চার হাত এক হতে চলেছে মেঘমালা এবং সুকল্যাণের৷ পুটু পিসির বিয়ের গয়নার খরচ ড্যাডির উপর চাপিয়ে দিয়ে নিশ্চিন্ত হয় গুনগুন। ড্যাডিও এই দায়িত্ব পেয়ে বেজায় খুশি। গুনগুন তো বিয়ের আনন্দে পাগল-পারা একেবারে৷ নাচ, গান, হুল্লোড়ে ফের জমজমাট মুখুজ্যে বাড়ি। একই বাড়িতে পরপর তিনটি বিয়ে। ভাবা যায়!
ওদিকে বাবিনের সঙ্গে গুনগুনের প্রেমের বাতাস মিলছে ধীরে ধীরে। ইতিমধ্যেই ভুতের ভয় পেয়ে বাবিনের প্রতি ভালোবাসার কথা স্বীকার করে ফেলেছে গুনগুন। তাতেই পর্ব জমে ক্ষীর।
দেবলীনা ঝুমকে জানিয়ে দিয়েছে যে সুকল্যাণ তার বাবা নয়। সে ঝুমের বাবার বন্ধু। সুকল্যাণ তাদের বিপদের সময়ে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুকল্যাণ তাদের জীবনে এক নিরাপদ আশ্রয়। তবে, ঝুমকে তার বাবাই অর্থাৎ সুকল্যাণ নিজের সন্তানের থেকে কম কিছু ভাবে না।… সুকল্যাণ আর মেঘমালার বিয়েতে দেবলীনা এমন এক কাণ্ড ঘটাবে যাতে মুখার্জি পরিবার একপ্রকার বিমর্ষ হয়ে পড়বে।
আরও পড়ুনঃ সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন দুর্নিবার সাহা
গুনগুন কি পারবে ফের মুখার্জি বাড়ির সকলের মুখে হাসি ফোটাতে? সে তো অনেককিছুই পারে। খামখেয়ালি, সহজ সরল, মেজাজি গুনগুনের মধ্যে যে লক্ষ্মীমন্ত বউ বাস করে তা বুঝে গিয়েছে মুখুজ্যে পরিবার। সৌজন্যও আজ তার জন্য অহংকার করে। বাকিটা জানতে হলে প্রতিদিন সন্ধে সাড়ে ৭ টায় স্টার জলসায় দেখুন ‘খড়কুটো’।
আরও পড়ুনঃ মায়ের ভূমিকায় স্নেহা চ্যাটার্জি
প্রসঙ্গত, গুনগুনের পাগলামি, অবুঝপনা বন্ধ হওয়া উচিত- এই মর্মে সামাজিক মাধ্যমে বেশ মন্তব্যের ঝড় ওঠে। তাহলে কি এবার সত্যিই গুনগুন আস্তে আস্তে পালটে যাবে? কিন্তু সৌজন্য তো তা চায় না। সে চায় গুনগুন এরকমই থাক যেমনটা আছে সে। এবার সৌজন্যর চাওয়া নাকি দর্শকের চাওয়াকে কাহিনিকার অধিক গুরুত্ব দেবেন তা দেখার জন্য আছে তো ‘খড়কুটো’।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584