সিমা পুরকাইত,দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ
বিধায়ক ছাড়া দিদিকে বলো কর্মসূচি এবার ফলতা বিধানসভা জুরে।১৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মসূচি তৃণমূল কংগ্রেস যুব সভাপতি জাহাঙ্গির খানের উপর।দলের নির্দেশ মেনে চলছে দাবি ফলতা তৃনমূল কংগ্রেস যুব সভাপতির।
এলাকায় দেখা নেই বিধায়ক তমনাশ ঘোষের।যা নিয়ে সংশয় তৈরী হয়েছে সাধারন মানুষের মধ্যে। দক্ষিন ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে ফলতা বিধানসভা।
তৃণমুল কংগ্রেস সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে প্রায় ৪৭ হাজার ভোটে লিড দিয়েছে ঠিকই।তাতে দল স্বতঃস্ফূর্ত
ভাবে গ্রহন যোগ্য হলেও দলের একাংশ মানতে পারছেনা এলাকার যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি জাহাঙ্গির খানকে। দাবি তৃণমূল মাদার নেতা ভক্তরাম মন্ডলের ।
তার দাবি দলের কোন্দল আচার ব্যবহার মানুষ মুখ ফেরাচ্ছেন তৃনমূল থেকে। তার অভিযোগ তিনবারের বিধায়ক তমনাশ ঘোষ।উন্নয়নে এগিয়ে রেখেছিলেন ফলতাকে ।
২০১৮ সালে হঠাতই যুব তৃনমূলের উত্থানে কোন্দল বাঁধে দলে।তার পর থেকে শুরু কাদা ছেঁটাছেঁটি।লোকসভা নির্বাচনে দায়িত্ব ছিল যুব গোষ্ঠির উপর।তার পর শুরু হয় আরো চাপানউতোর কোন্দল।অষ্টম ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতে তৃণমূল।
আরও পড়ুনঃ ফালাকাটায় সাংবাদিক সম্মেলন করে দিদিকে বলো কর্মসূচির প্রচার তৃণমূলের
তাতেও বাক নেইনি তৃনমূল দুই গোষ্ঠী।২০১৩ সালে বেলসিংহ গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল প্রধান জাহাঙ্গির খান জেতান তৃণমূলকে।তারপর থেকে আরও ক্ষমতা পান তিনি।লোকসভা নির্বাচনের পর একাধিক পদে রয়েছেন যুব তৃণমূল সভাপতি জাহাঙ্গির খান।
সংগঠন দৃঢ় করতে এবার মাঠে ময়দানে নেমেছেন তিনি। দিদিকে বলো কর্মসূচি নিয়ে ২১শে বিধানসভা পাথেয় করে পথে নেমেছেন জাহাঙ্গির খান।২৫৭ টি বুথ ১৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত ফলতা বিধানসভা । তমনাশ ঘোষ এলাকার বিধায়ক হলেও দেখা মেলে না।
ফলে কাজের সমস্যা পরতে হয় অনেকের দাবি সাধারন মানুষের।সেই সমস্যা দুর করতে মাঠে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস যুব সভাপতি।ফলতার বেলসিংহ এলাকার তৃনমূল জনসংযোগ কার্যালয়ে দিদিকে বলো কর্মসূচি অংশ নেন কর্মী সর্মথকদের নিয়ে।
পরে বনহোগলা গ্রামে অভাব অভিযোগ নিয়ে পরিদর্শনে সরব হন ফলতার যুব তৃণমূল সভাপতি।কখনো চায়ের দোকানে কর্মসূচি পক্রিয়া, কখনো বা মানুষের দরজায় কড়া নারা।সেখানে গিয়ে অভাব অভিযোগ শোনা । সব মিলিয়ে ফলতা দিদিকে বলো কর্মসূচির পক্রিয়া এখন তুঙ্গে । যদিও এমন কর্মসুচি নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব ।
তাদের দাবি যুব তৃণমূল কংগ্রেস গোষ্ঠি ও মাদার তৃণমূল কংগ্রেসদের দ্বন্দ্ব ঢাকতে নাটকীয় রুপ নিয়েছেন জাহাঙ্গির। লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় স্তরে রয়েছে বিজেপি ।
তাই বিধানসভায় মানুষ স্বতস্ফূর্ত ভাবে তৃনমূলকে দুরমূস করবে বলে দাবী বিজেপির জেলা সহকারী সভাপতি সুফল ঘাঁটুর।একদিকে বিধায়ক শূন্য তৃণমূল কংগ্রেস ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি কতটা প্রভাব ফেলবে ফলতায় তা সময়ি বলবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584