নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গই শেষ নয়, তৃতীয় তরঙ্গের অভিঘাত হতে পারে এরকমই ভয়াবহ, স্থায়ী হতে পারে ৯৮ দিন; দাবি সাম্প্রতিক এসবিআই রিপোর্টে।রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রথমত টিকাকরণের আওতায় আনতে হবে বেশি সংখ্যক মানুষকে আর একই সঙ্গে ব্যাপক উন্নতির প্রয়োজন দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর। তাহলে কিছুটা কমানো যাবে মৃত্যুহার কিন্তু সম্পূর্ণ এড়িয়ে যাওয়া যাবে না তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা।

রিপোর্টে বলা হয়েছে গুরুতর অসুস্থ করোনা রোগীর সংখ্যা কমাতে পারলে অর্থাৎ আইসিইউ, অক্সিজেন এগুলির প্রয়োজন এমন রোগীর সংখ্যা কমাতে পারলে তবেই কমবে মৃত্যুহার। তবে রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ধরণের রোগীর সংখ্যা ২০% থেকে কমিয়ে ৫% করতে পারলে তৃতীয় ঢেউয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৪০ হাজারের কাছে নিয়ে আসা সম্ভব। কিন্তু তার জন্য স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর দ্রুত উন্নতি ও টিকাকরণের সংখ্যা বাড়ানো দুটিই একই সঙ্গে করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ছ’বার চেষ্টার পর সাফল্য! কনস্টেবল থেকে দিল্লি পুলিশের ACP হওয়ার জার্নি
দ্বিতীয় ঢেউয়ে মারা গিয়েছেন প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার মানুষ।তবে তৃতীয় ঢেউয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ চিন্তার কারণ রয়েছে শিশুদের নিয়ে। রিপোর্টে বলা হয়েছে তৃতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ কমাতে মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ।
আরও পড়ুনঃ ১৮-৪৪ বছর বয়সীদের টিকাকরণ নিয়ে সুপ্রীম কোর্টের প্রশ্নের মুখে কেন্দ্র
তৃতীয় ঢেউয়ের অভিঘাত কমাতে হলে যথাসম্ভব জোর দিতে হবে মোট জনসংখ্যার বেশির ভাগ অংশকেই যাতে টিকার আওতায় নিয়ে আসা যায় এবং যত দ্রুত সম্ভব। ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীর সংখ্যা ভারতে ১৫-১৭ কোটি। উন্নত দেশগুলিতে এই বয়সীদের টিকাকরণ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। ভারতেরও উচিত একই পথে ভাবা। এই বয়সী শিশুদের দ্রুত টিকার আওতায় আনা প্রয়োজন।
আরও পড়ুনঃ অতিমারীতে প্রাণ গিয়েছে ৩৪৬ জন সংবাদকর্মীর, ক্ষতিপূরণ ও চিকিৎসার আবেদন সুপ্রীম কোর্টে
কেন্দ্র আশ্বাস দিয়েছে জুলাই মাসের শেষ থেকে অগাস্ট মাসের প্রথম এই সময়ের মধ্যে ভারতে টিকাকরনের সংখ্যা দৈনিক ১ কোটিতে পৌঁছানো সম্ভব হবে। যদি সত্যিই তা কাজে করা সম্ভব হয় তৃতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের হার কমানো সম্ভব হবে কিছুটা নিরাপদে থাকবে শিশুরাও, এমনটাই জানা গিয়েছে এসবিআই রিপোর্টে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584