নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
জানুয়ারি থেকে শুরু করে নভেম্বর অবধি মোট ৮৬ টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে উন্নাওতে। কোনও সন্দেহ নেই, উন্নাওকে উত্তরপ্রদেশের ‘ধর্ষণের রাজধানী’ বললে অত্যুক্তি হয় না।
শুধু ১০০-র কাছাকাছি ধর্ষণ নয়। ২০০-র কাছাকাছি যৌন হেনস্থাও ঘটেছে এই এক বছরে। উক্ত পরিসংখ্যান কেবল নথিভুক্ত হয়েছে। নথিভুক্ত না হওয়া রোজ এমন আরও কত ধর্ষণ আর হেনস্থা ঘটে তা গুনলে ইয়ত্তা থাকবে না।
উন্নাওয়ের জনসংখ্যা প্রায় ৩১ লক্ষ। উন্নাও লখনউ থেকে প্রায় ৬৩ কিলোমিটার এবং কানপুর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। একটি জাতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, এই একই সময়কালে এই জেলা থেকে মহিলাদের যৌন হেনস্থার ১৮৫ টি ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
কুলদীপ সেঙ্গার এবং বৃহস্পতিবারের ঘটনা, যাতে ধর্ষিতার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় সেগুলি ছাড়াও একটি বিশিষ্ট মামলা হল পূর্বায় এক মহিলার ধর্ষণ। এ বছরের ১ নভেম্বর ওই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ হায়দ্রাবাদ ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে বিতর্কের মাঝেই উন্নাওয়ের ধর্ষিতা তরুণীর মৃত্যু
উন্নাওয়ের আসোহা, আজগাইন, মাখি এবং বাঙ্গারমাউয়ে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির বিভিন্ন অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযুক্তরা হয় প্রথমে গ্রেফতার হয়ে পরে জামিনে মুক্তি পেয়েছে বা পালিয়ে গিয়েছে। স্থানীয় মানুষ এই পরিস্থিতির জন্য পুলিশকে দোষারোপ করেছে।
আজগাইনের বাসিন্দা রাঘব রাম শুক্লা বলেন, “উন্নাওয়ের পুলিশ পুরোপুরি রাজনীতির পুতুলে পরিণত হয়েছে। উপর মহলের রাজনৈতিক কর্তাদের অনুমতি না পেলে তারা এক ইঞ্চিও নড়বে না। এই মনোভাব অপরাধীদের আরও উত্সাহিত করছে।”
আরও পড়ুনঃ রেজিনগর বাসস্ট্যান্ডে লরি-বাইক সংঘর্ষে আহত ৪
স্থানীয় একজন আইনজীবী বলেন, “এখানে অপরাধকে কেন্দ্র করে রাজনীতি চলছে। রাজনীতিবিদরা এখানে রাজনৈতিক হিসেব নিকেশ বুঝে নেওয়ার জন্য অপরাধকে ব্যবহার করছে এবং পুলিশ তাদের হাতের পুতুল হয়ে রয়েছে।
সাম্প্রতিককালে যখন নতুন শহর গড়ার জন্য জমি অধিগ্রহণ নিয়ে কৃষকরা হিংসার মুখে পড়ে, পুলিশ নিজের পিঠ বাঁচিয়েছে। এমনও একটাও ঘটনা নেই যেখানে পুলিশ কঠোর আচরণ করেছে।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584