নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
চরম সঙ্কটে শ্রীলঙ্কা। দ্বীপ রাষ্ট্রে জারি হল জরুরি অবস্থা। ১৯৪৮ সালে স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এই প্রথমবার এতবড় আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার শূন্য, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য কেনা বা আমদানি অসম্ভব হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি এমনই যে স্কুল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত পরীক্ষা স্থগিত রেখেছে রাজাপক্ষে সরকার কারণ কাগজ কালি কেনার মত অর্থ নেই কোষাগারে।
শ্রীলঙ্কার বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার ভরে মূলত পর্যটন শিল্প থেকে করোনা আবহে তা ছিল কার্যত প্রায় বন্ধ। তার উপরে চিনের কাছ থেকে নেওয়া ঋণের সুদের বোঝায় আরও ডুবে গিয়েছে অর্থনীতি। ফুরিয়ে এসেছে খাদ্যশস্য সহ অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী। দেশে খাদ্যশস্যের দামও প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের বিক্ষুব্ধ জনগণ বিক্ষোভ দেখায় প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষের বাসভবনের সামনে। আর তার পরেই জরুরি অবস্থা জারির কথা ঘোষণা করেন তিনি। এরফলে দেশের নিয়ন্ত্রণ সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বিনা বিচারেই কাউকে গ্রেফতার ও দীর্ঘ সময় বন্দি করে রাখার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সেনাবাহিনীর হাতে।
আরও পড়ুনঃ প্রবল সঙ্কটে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি, সামাল দিতে দিনে ১০ ঘন্টা বিদ্যুৎ ছাঁটাই-এর সিদ্ধান্ত নিল সরকার
এই পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে সাহায্য ১০০ কোটি টাকা কম সুদে ঋণ দেওয়ার কথা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে মোদী সরকার। এদিকে শ্রীলঙ্কায় গোটা দেশে আর এক ফোঁটা ডিজেল মজুত নেই থমকে গিয়েছে পরিবহন। রাজাপক্ষে সরকার সাহায্য চায় ভারতের কাছে। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে, ১০ কোটি টাকার ক্রেডিট লাইনে ৪০ হাজার টন ডিজেল পাঠাচ্ছে ভারত।
আরও পড়ুনঃ মোদী জামানায় দৈনিক অন্তত ১০০ কোটি টাকা জালিয়াতি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে, আরবিআই রিপোর্টে প্রকাশ
অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শ্রীলঙ্কার আয়ের অন্য়তম পথ ছিল পর্যটন, করোনা অতিমারির কারণে একেবারে থমকে যায় পর্যটন শিল্প। পাশাপাশি প্রশাসনের ভুল সিদ্ধান্ত ও ক্রমাগত ঋণ গ্রহণকেও আর্থিক মন্দার অন্যতম বড় কারণ হিসাবে দেখছেন তাঁরা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584