নিজস্ব সংবাদদাতা,কোচবিহারঃ
কোচবিহার মেখলিগঞ্জ মহকুমায় তৃণমূল সাংসদ সুব্রত বক্সীর সভার খবর করতে গিয়ে চূড়ান্ত অপমানের সম্মুখীন হলেন কোচবিহারের এক সাংবাদিক। সভাস্থল থেকে ধাক্কা দিয়ে বল পূর্বক অপমান করে ওই সাংবাদিককে বের করে দেন স্বয়ং তৃণমূল নেতা সুব্রত বক্সী। সেই সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা কার্যকারী সভাপতি পার্থ প্রতিম রায়,এলাকার বিধায়ক অর্ঘ্য রায় প্রধানসহ অন্যান্য নেতৃত্ববৃন্দ।
আগাম সর্তকতা না থাকার কারণেই সভা কাভারেজে যান সাংবাদিক শুভ্রজিৎ বিশ্বাস। সেই সময় সভায় বক্তব্য রাখতে শুরু করেন সুব্রত বক্সি,তার গোধরা বক্তব্যে উঠে আসছিল তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর গুনো গান।সেই সময় পাশেই সাংবাদিককে দেখতে পেয়ে রীতিমতো ক্ষিপ্ত হয়ে যান সুব্রত বাবু।হাত ধরে টেনে তাকে বার করে দেন সভাস্থল থেকে।
সুব্রত বাবুর এহেন আচরণে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কোচবিহার প্রেসক্লাবের সম্পাদক সুমন কল্যাণ ভদ্র।
একই সাথে মেখলিগঞ্জ তৃণমূল তরফ থেকে কটাক্ষ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর গুনো গান শোনা আর সাংগঠনিক দুর্বলতা কাটানো এক জিনিস নয়। বক্সি বাবু প্রতিবারই মুখ্যমন্ত্রী গুণগান গেয়ে যান এতে সাংগঠনিক ক্ষমতার কোনও পরিবর্তন হয় না। আর সে ক্ষেত্রে সাংবাদিক ভিতরে থাকলে কি ক্ষতিই বা হত।
এই প্রসঙ্গে সুব্রত বাবু কোন মন্তব্য না করলেও এলাকার বিধায়ক অর্ঘ্য রায় প্রধান বলেন, উপস্থিত সাংবাদিক কোনো অনুমতি না নিয়েই ছবি করছিল,সেই কারণেই সমস্যার সৃষ্টি হয়।
অপরদিকে সাংবাদিক মহল নিয়ে রাজনৈতিক মহলের এত মতবিরোধের কারণ কেন তা নিয়েও যথেষ্ট প্রশ্ন চিহ্ন রয়েছে।
সোমবার সুব্রত বক্সীর সভার সঠিক সময় এবং গন্তব্য স্থল সাংবাদিকদের জানানো হয়নি,সম্প্রতি শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রবেশকে আটকানো হচ্ছে।এর কারণ নিয়ে কোন নেতৃত্বেই মুখ খুলতে নারাজ।
জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মন বলেন, রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ রয়েছে দলের কোনও সভায় কোনও মিটিং এ সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করতে পারবে না, ঠিক সেই কারণেই কাড়াকাড়ি।
নিচুতলার কর্মীরা মনে করছেন সম্প্রতি জেলা তথা বাংলার যা অবস্থা তাতে রাজ্য নেতৃত্ব গ্রামবাংলায় পরিদর্শনে না আসাই ভাল।মানুষের ক্ষোভ বিক্ষোভ তার রায় মানুষ ভালোটা দিয়েছে নেতৃত্ব রাজেশ্বরী এই অবস্থানকে আরও বেশি মাত্রায় খোঁচা দিচ্ছে বলেই দাবি করছে নিচুতলার কর্মীরা।
আরও পড়ুনঃ তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্বের সামনেই দলের যুব নেতাকে নিগ্রহ
কর্মীদের এটাও দাবি বর্তমানে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে তা একমাত্র সাংবাদিকদের মাধ্যমেই ভরাট হতে পারে, তাই সাংবাদিকদের ওপরে রাজনৈতিক নেতাদের এ ধরনের আচরণ তাদের নিজেদের সাংগঠনিক ক্ষমতাইকে আঘাত করছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584