নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
করোনা অতিমারির প্রথম ঢেউয়ে আর্থিক অনটনের কারণে দেশে ৮০০০ এরও বেশি মানুষ আত্মহত্যা করেছেন বুধবার একথা জানালো সরকার। কড়া লকডাউনের কারণে দীর্ঘ সময় কাজ ছিল না বহু মানুষের ফলে আয় ছিল না কয়েকমাস যাবত, এই প্রথমবার একথা মেনে নিল কেন্দ্র।
বুধবার রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্র মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বলেন, “২০২০ সালে দেশে ৮৭৬১ জন মানুষ বেকারত্ব ও ধারদেনার দায়ে জর্জরিত হয়ে আত্মহত্যা করেছেন।“ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০১৮ থেকে ২০২০ এই ৩ বছরে আর্থিক দুর্দশার কারণেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন তাঁরা। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, সংসদে ২০২০ সালে কেন্দ্র বলে যে, লকডাউনের কারণে পরিযায়ী শ্রমিক মারা গিয়েছেন এমন কোন তথ্যই নেই সরকারের কাছে সুতরাং ‘প্রশ্নই ওঠে না ক্ষতিপূরণের।“
আরও পড়ুনঃ কানাডার ট্রাক চালকদের আন্দোলনের জেরে বন্ধ হয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্ত ক্রসিং
তবে অবশেষে এদিন সংসদে দাঁড়িয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক স্বীকার করেছে যে, ২০২০ সালের মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কাউকে বিন্দুমাত্র প্রস্তুত হওয়ার সময় না দিয়ে আচমকা দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করায় বিপুল সমস্যায় পড়েছিলেন ১ কোটি-রও বেশি পরিযায়ী শ্রমিক। লকডাউন ঘোষণার পরে কয়েক সপ্তাহ ধরে তাঁরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নিজের নিজের রাজ্যে ফিরেছেন যথেষ্ট কষ্ট করে। পরিশেষে রাই এও বলেন যে বেকারত্ব কমাতে সরকার প্রচুর কর্মসূচীও নিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ “বিকিনি পরবেন না হিজাব, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নারীর”, টুইটারে বিস্ফোরক প্রিয়াঙ্কা
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584