মহিষাদলের ‘ফড়িং’ এর হেলিকপ্টার এবার মঙ্গল গ্রহে

0
155

নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুরঃ

১৯ দিন পর ‘লাল গ্রহ’ মঙ্গলে সভ্যতার পাঠানো প্রথম যে হেলিকপ্টারটি (নাম-‘ইনজেনুইটি’) উড়বে, তার মূল কর্ণধার চিফ ইঞ্জিনিয়র জে বব বলরাম। মঙ্গলের আকাশে হেলিকপ্টার ওড়ানোর স্বপ্নটা প্রথম দেখার জন্য অবশ্য বলরামের সঙ্গে ইতিহাসে লেখা থাকবে দুই বঙ্গসন্তানের নামও। অনুভব দত্ত এবং সৌম্য দত্ত। মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যারোডায়নামিক্স ও অ্যারোইলেকট্রিসিটি বিভাগের অধ্যাপক অনুভব। সাড়ে ৩ দশক আগে যিনি তাঁর এই পরিকল্পনা প্রথম জানিয়েছিলেন একটি আন্তর্জাতিক সেমিনারে।

j bob balaram | newsfront.co
সংবাদ চিত্র

লাল গ্রহের কক্ষপথে পৌঁছনো মহাকাশযান থেকে মঙ্গলে নিরাপদে নামার জন্য যে দৈত্যাকার প্যারাস্যুট বানানো হয়েছে, তা তৈরির সঙ্গেও জড়িয়ে রয়েছে দ্বিতীয় বঙ্গসন্তানের নাম। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলের অনুভব দত্ত যাকে মহিষাদলের মানুষ “ফড়িং” নামে চেনেন। পাশাপাশি বর্ধমানের সৌম্য দত্তও রয়েছে।

friends | newsfront.co
সংবাদ চিত্র

আর ঠিক ১৯ দিনের মাথায়, অর্থাৎ ১৮ই ফেব্রুয়ারি মঙ্গলে পা ছোঁয়াবে নাসার ল্যান্ডার। তার পরেই লাল গ্রহে ল্যান্ডার থেকে বেরিয়ে পড়বে রোভার ‘পারসিভের‌্যান্স’। আকাশে চক্কর মারতে উড়বে হেলিকপ্টার- ইনজেনুইটি।
মঙ্গলে যে হেলিকপ্টার উড়তে চলেছে তার ওজন ১.৮ কিলোগ্রাম (৪ পাউন্ড)। যার মাথার উপরে রয়েছে দু’টি ব্লেড বা রোটর। প্রত্যেকটির ব্যাস ৪ ফুট বা ১.২ মিটার।

আরও পড়ুনঃ ২০ হাজার টাকায় এক প্লেট বিরিয়ানি!

রোভার পারসিভের‌্যান্স লাল গ্রহের ‘জেজেরো ক্রেটারে’ পা ছোঁয়ানোর আড়াই মাস পর তার শরীর থেকে বেরিয়ে আসবে বলরামের হাতে গড়া হেলিকপ্টার ইনজেনুইটি। তার পরের এক মাসে মোট ৫ বার মঙ্গলের আকাশে উড়বে সেই হেলিকপ্টার। প্রতি বার দেড় মিনিটের জন্য। লাল গ্রহের পিঠ থেকে তা উড়বে সর্বাধিক ১০০ মিটার উচ্চতায়। শনিবার রাতে মহিষাদলের ছেলে অনুভবের তৈরি হেলিকপ্টার মঙ্গল গ্রহে উড়ার খবর পেয়ে খুব খুশি অনুভবের কাকা সঞ্জীত দত্ত সহ মহিষাদলের মানুষ।

আরও পড়ুনঃ এনআরসি লাগু বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি- সংসদে জানাল কেন্দ্র

সঞ্জীতবাবু বলেন, অনুভব মহিষাদলে জন্মগ্রহণ করলেও লেখাপড়া বড় হয়ে ওঠা কলকাতায়। উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যে একাদশ স্থান অধিকার করেছিলো অনুভব। ছোটো থেকেই খুব মেধাবি ছিলেন। খুব ছটপটে থাকায় নাম দেওয়া হয়েছিলো ফড়িং। পুকুরে সাঁতার কাটার খুব নেশা ছিল। তাই সময় পেলেই কলকাতা থেকে মহিষাদলে নিজের গ্রামের বাড়িতে ছুটে আসতো। তার তৈরি হেলিকপ্টার মঙ্গল গ্রহে উড়বে শুনে খুব আনন্দ লাগছে। তার স্বপ্ন পূরণ হোক আরো ভালো কিছু কিরুক এটাই প্রার্থণা করি।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here