সিমা পুরকাইত,দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ
স্বাধীনতার পর আজও বাঁধ ভাঙার নোনা জলের আতঙ্কে দিন কাটাতে হয় দক্ষিন সুন্দরবনের কাকদ্বীপ ব্লকের উত্তর সোনারচক ও লক্ষ্মীজনার্দনপুর দুই গ্রামের বাসিন্দাদের। ২০০৯ সালে বিধংসী আইলা গ্রাস করেছিল এই দুই গ্রামের মুড়িগঙ্গা নদীর বাঁধ।আয়লা কবলিত হয়ে পরে দুই গ্রাম।২০১২ সালে পরিবর্তনের পর সরকারি ভাবে আইলা বাঁধ নির্মিত হলেও সম্পুর্ন হয়নি বাঁধের কাজ।
ফলে নদীর গতিবিধিতে অস্তিত্ত হারাতে বসেছে বাঁধের ক্ষমতা ।হাজার মিটার ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধে মোট কাজ হয়েছে ৬০০ মিটার।উত্তর সোনারচকে ৩০০ মিটার ও লক্ষ্মীজনার্দনপুরে ৩০০ মিটার।অসম্পূর্ণ বাঁধ নির্মিত হয়েছে কংক্রিটের।বাঁধের উপরে আজও নেই ঢালাই অথবা পিচ দিয়ে নির্মিত রাস্তা ।
বর্ষার বৃষ্টিতে কাদামাটির রাস্তা জল পেয়ে দুর্বল হতে শুরু করে আইলার বাঁধের কংক্রিটের ইটের তৈরী বোল্ট।ফলে মুড়িগঙ্গা নদীর বাঁধ নরবরে হওয়াই বেড়েছে আতঙ্ক। বাঁধ নির্মিত হলেও আষাঢ় শ্রাবন ভাদ্র তিন মাস থাকতে হয় আতঙ্কে।নদীর স্রোতে ভাঙতে ভাঙতে সাধারন মানুষের জায়গা জলের গ্রাস করেছে অনেকবার।ফলে এবারেও আতঙ্কে রয়েছে নোনা জল প্রবেশের।
আরও পড়ুন: পুলিশ দেয়নি নিরাপত্তার আশ্বাস,হামলার আশঙ্কায় ঘরছাড়া তৃণমূল বিধায়ক
রামকৃষ্ণ গ্রামপঞ্চায়েত প্রতিনিধি থেকে কাকদ্বীপ সেচ দফতর প্রতিনিধিরা একাধিকবার পরিদর্শন করলেও আজও মেলেনি সমস্যার সমাধান।তাই বর্ষা নামলে ভয়ে ভীতিতে থাকতে হয় তাদের । এবারে চাষের জমি থেকে মাছের ভেড়ি ক্ষতির আশঙ্কা করছেন অনেকে।
দুই গ্রামে রয়েছে প্রায় দশ হাজারেরো মানুষের বাস।কৃষি আর মীন ধরে চলে দুই গ্রামের মানুষদের জীবিকা।প্রত্যাশিত তৃনমূলের কাজে সম্তুষ্ট নন অনেকে।বাঁধ নির্মিত হয়েছে ঠিকিই কিন্তু শান্তি আর স্বস্তি সব হারিয়েছে দুই গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষেরা।
প্রত্যাশা আর প্রতিশ্রুতি নিয়ে বাঁধ ইস্যু করে তৃনমূল রাজনীতি করছে বলে দাবি জেলা বিজেপি সহসভাপতি সুফল ঘাঁটুর।যদিও সব অবসান কাটিয়ে সংস্করন করার প্রবনতা রেখেছে স্থানিয় তৃনমূল নেতা মাধাই ভুঁইয়া।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584