নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রামঃ
‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচীকে ঘিরে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির বাড়িতে বোমাবাজি,ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে।
আবার বিজেপির সমর্থক বৃদ্ধ প্রদীপ মন্ডলকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে পুলিশের বিরুদ্ধে তৃণমূল কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করার অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় দু’পক্ষের মোট ছ’জন জখম হয়েছেন।
তৃণমূল ও বিজেপি দুই জায়গায় পৃথক ভাবে পথ অবরোধ করেছে। আবার ভাঙচুর চালানোর প্রতিবাদে পুলিশ বিজেপির শিলদা মন্ডল সভাপতি রজত ঘোষ সহ মোট দু’জনকে আটক করেছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুঁয়ার ভূণ সিং, ডিএসপির নেতৃত্বে তিন থানার আইসি সহ বিরাট পুলিশ বাহিনী মোতায়ন রয়েছে।
হাড়দা গ্রামপঞ্চায়েত তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই এলাকায় তৃণমূলের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যায়। হাড়দা গ্রামপঞ্চায়েতের ১৪ টি আসনের মধ্যেই ১৪ টি জয় লাভ করে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনেও এই এলাকা থেকে ভালো ফল করে বিজেপি।
আরও পড়ুনঃ ছাত্র সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত কোলাঘাট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
বিনপুরের বিধায়ক খগেন্দ্রনাথ হেমব্রম বলেন , এলাকার মানুষের কতদূর উন্নয়ন হয়েছে,কি করলে আরও উন্নয়ন করা যায় সেকথা জানার জন্য এবং কোনও অভাব অভিযোগ থাকলে দিদিকে জানানোর জন্য বাড়ি বাড়ি কার্ড বিলি করছিলাম।
ঠিক সেই সময় বিজেপির লোকজন আমাদের কর্মীদের উপর হামলা চালায়। পুলিশও আমাদের কর্মীদের উপরেই লাঠিচার্জ করে।
আমাদের অঞ্চল সভাপতির বাড়িতে ইঁট পাথর ছুঁড়ে ও বোমাবাজি করে বিজেপির লোকজন। আমাদের কর্মীরা এখানে যতক্ষন পথ অবরোধে বসে থাকবে ততক্ষণ আমিও এই পার্টি অফিসে থাকবো ।
অপরদিকে তৃণমূলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে হাড়দা গ্রামের বাসিন্দা বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা সাধারণ সম্পাদক রাজেশ মন্ডল বলেন, এই এলাকায় তৃণমূলের পায়ের তলায় মাটি নেই।
তারা ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে। তাদের ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি চলাকালীন আমাদের কিছু কর্মী ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় বিধায়ক ও পুলিশের উপস্থিতিতেই তৃণমূলের লোকজন আমাদের কর্মীদের মারধর করে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584