কুমিরের সঙ্গে লড়াই করে প্রাণে বাঁচলেন মহিলা

সিমা পুরকাইত,দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ

এ যেন কাহিনী গল্প! দীর্ঘ লড়াইয়ের পর কুমিরের খপ্পর থেকে বেঁচে ফিরল গৃহবধূ।ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমা ব্লকের ছোট রাক্ষস খালী এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় স্থানীয় গৃহবধূ গৌরী খালুয়া( ৪৫) পাথরপ্রতিমা থানার ছোট রাক্ষস খালি ভোক্তা ঘেরির বাসিন্দা ,প্রতিদিনের ন্যায় আজ সকাল ১০ টার সময় পাশের জগদ্দল নদীতে জাল ফেলতে যায়।

এক কোমর জলে নদীতে নেমে জাল ফেলতে থাকে।হঠাৎ তাকে একটি কুমির কোমরের নিচে থাইতে ধরে ফেলে তাকে।চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকে গৌরী খালুয়া।বুদ্ধি করে হাতের জালটি কুমিরের মুখের উপরে ফেলে দেয় কিন্তু জালের দড়িটা গৃহবধূর হাতে থাকায় জাল টি নিয়ে কমিটি পালাতে অক্ষম হয়।তখন কুমিরটি বেগতিক বুঝে গৃহবধূর পায়ের নিচে কাঁমড় দেয়।

গৃহবধূ পাশে থাকা একটি গাছের শিকড় ধরে নেয়, চলতে থাকে মৎস্যজীবী মহিলা এবং কুমিরের লড়াই।গৃহবধুর চিৎকার শুনে আশেপাশে থাকা মৎস্যজীবীরা দৌড়ে আসে। লাঠি হাতে জলের মধ্যে মারতে থাকে।গৃহবধূর বুদ্ধি করে হাতে দরি খুলে দেয়।ততক্ষণে ছেড়ে দিয়ে জালসহ পালিয়ে যায় কুমিরটি।স্থানীয়রা ধরে নিয়ে ক্ষতস্থানে গামছা জড়িয়ে বাড়িতে আনে ওই গৃহবধূকে। প্রচুর পরিমাণে রক্তক্ষরণ হতে থাকে।

আরও পড়ুনঃ চিতা বাঘের আক্রমণ যুঝে নিজেকে রক্ষা চা বাগানের মহিলা শ্রমিকের

পরে স্থানীয় মাধবনগর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় গৃহবধূকে নিয়ে তার বাড়ির লোকেরা কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।