সিমা পুরকাইত,দক্ষিণ ২৪ পরগনাঃএকটা সময় নারীদের উচ্চ শিক্ষা নিয়ে সমস্যা হত।সমস্যায় পরতেন নারীর আত্মীয় পরিজনেরা।ক্ষমতায় আসার পর বদলেছে শিক্ষার মান।দিকে দিকে বেড়েছে শিক্ষার গতি।প্রথম মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের তকমা আজ এই বাংলায় ।
নারীদের স্বপ্ন আজ সার্থকতায় রূপ নিয়েছে।ডায়মন্ড হারবারবাসী শুধু নয়। এই জেলার পাশাপাশি দক্ষিন সুন্দরবন,সঙ্গে বেড়েছে ভিন জেলার নারীদের উচ্চশিক্ষার মান।একবিংশ শতাব্দিতে দাঁড়িয়ে আজ বেড়েছে নারীদের শিক্ষার মান।ক্ষমতায় আসলে মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার প্রত্যাশা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সেই প্রতিশ্রুতি আজ বাস্তবায়িত।২০১৪ সালে শুরু মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের পথ চলা।শ্রেনী কক্ষের অভাবে ডায়মন্ড হারবার ফকির চাঁদ কলেজে হতো মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন পাঠন।২০১৫ সালে সরিষার চেওড়াতে নব ভবনের মধ্য দিয়ে শুরু পূর্বভারতে প্রথম মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের পথ চলা। পরিকাঠামোগতদিক, পঠনপাঠন , ব্যবস্থাপনায় আজ দিকে দিকে বেড়েছে মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসূচি।২০১৪ মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া সংখ্যা ছিল মাত্র ২০০জন।
চার বছর কাটতে না কাটতে আজ পড়ুয়া সংখ্যা প্রায় ৯০০ জন ছাড়িয়েছে। প্রশাসনিক ভবন,পড়ুয়া ভবন,অ্যাকাডেমি ভবন,কম্পিউটার ল্যাবেটরি,কেমিস্টি,ফিজিক্স,জিওলজি ল্যাবেটরি,৮০ সিটের হোস্টেল নির্মান হয়েছে দিকে দিকে।তিনটি বিভাগের মধ্য কলাবিভাগ ও বিজ্ঞান বিভাগ।দুই বিভাগে শুরু হয়েছে পঠন পাঠন। নতুন করে শুরু হয়েছে যোগা ও ব্রতচারি প্রশিক্ষন।পরিকাঠামো ও শিক্ষার পরিবেশে আজ পঞ্চমুখ ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিদ্যালয়।একটা সময় দক্ষিন সুন্দরবন মহিলারা এগিয়ে যেতে পারতেন না উচ্চ শিক্ষায়।ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় অনেকটা পিছিয়ে পরত।আজ শুধু এই জেলায় নয়,ভিন জেলা থেকে আসছে মহিলারা।ফলে উচ্চ শিক্ষার মান আজ পঞ্চমুখ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584