নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর দিনাজপুরঃ
সোশ্যাল মিডিয়ায় গ্রুপ তৈরি করে অসুস্থ রোগীদের বাড়ি গিয়ে, তাদের প্রয়োজনীয় ওষুধ পৌঁছে দিচ্ছেন রায়গঞ্জের এক যুবক। দিন-রাত সমানভাবে পরিশ্রম করে লকডাউনের মধ্যেও প্রানদায়ী ওষুধ বাড়িতে বসে পেয়ে যাচ্ছেন মুমূর্ষ রোগীরা। তার উপর আবার নায্য দামে।

যে সব প্রানদায়ী ওষুধ রায়গঞ্জ বা মালদাতে পাওয়া যায় না। মূলত সে সব ওষুধ রোগীদের বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছেন কৌশিক চক্রবর্তী নামের এই যুবক।জানা যায়, এই ভাবে এক সঙ্গে মালদা, রায়গঞ্জ এবং দক্ষিন দিনাজপুরে এই পরিষেবা দিয়ে চলেছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ ঘরবন্দী পড়ুয়াদের একঘেঁয়েমী কাটাতে এগিয়ে এলো পুলিশ – প্রশাসন
মূলত নিজের বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে একটি ‘টিম’ তৈরি করে সে এই কাজ করে চলেছেন। যে সব রোগী ক্যানসার, কিডনির সমস্যায় ভুগছে, আর লকডাউনের সময়তেই তাদের ওষুধ পৌঁছে দিচ্ছেন কৌশিকবাবু । জরুরী জিনিশ নিয়ে যে সব ট্রাক এখন দক্ষিনবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গে যাতায়াত করছে।
সেই ট্রাক গুলোকে বা কখনও আম্বুলেন্সকে ভরসা করেই ওষুধ আনাচ্ছেন তিনি। কৌশিকবাবুর এই কাজে শুরুটা হয়েছিল এক কিডনি প্রতিস্থাপন করা আত্মীয়ের ওষুধের ব্যবস্থা করতে গিয়ে। পরে তিনজেলা তথা মালদা, উত্তর ও দক্ষিন দিনাজপুর- গৌড়বঙ্গেও মুমূর্ষ রোগীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
এমনকি গত বছর তাঁর আট বছরের মেয়ে নিজের চুল কেটে ক্যানসার রোগীদের দেওয়ায় উত্তরবঙ্গে বেশ হইচই হয়েছিল। সেই সূত্রে তাঁর নাম জানতেন প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা।
তাই লকডাউনের সময় ওষুধ সংগ্রহ করার জন্য, তাই সরকারি ‘পাশ’ জোগার করতে তেমন বেগ পেতে হয়নি তাকে। তার এই কাজে সাফল্য মেলায় ফেসবুকেই তিনি একটি গ্রুপ তৈরি করেন। সেখানে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদা জেলায় কার কী ওষুধ লাগবে তা জানতে চান তিনি।
তারপর কলকাতা থেকে আনাতে হবে এ রকম ওষুধের তালিকা তৈরি করা হয় । শুধু তাই নয়, এই ওষুধগুলো কলকাতা থেকে আনানোর ব্যবস্থা করেন তিনি। তারপর কখনও কারও বাইকে চেপে বা অ্যাম্বুলেন্সে করে তা পৌঁছে দিচ্ছেন যথাযথ জায়গাতে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584