নিজস্ব সংবাদদাতা, মুর্শিদাবাদঃ
করোনা মহামারীতে গোটা বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গে ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গও করোনা মহামারী থেকে বাদ পড়েনি। সেই করোনা মহামারি থেকে বাঁচার জন্যই চলছে করোনা বিধিনিষেধ। আর এই পরিস্থিতিতে পরিযায়ী শ্রমিক থেকে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ অর্থের অভাবে না খেয়ে দিন কাটাছেন। আর সেই সব অসহায় ও পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা ভেবেই জলঙ্গি ব্লকে চালু হল একশো দিনের কাজ।
বর্তমানে জলঙ্গি ব্লকের বেশ কিছু পঞ্চায়েতে অনাস্থা চলছে সেই সব সমস্যা কাটিয়ে একশো দিনের কাজ চলছে চোয়াপাড়া অঞ্চলে। এদিন এক পরিযায়ী শ্রমিক জানান, যে ঈদে বাড়ি এসেছিলাম পরিবারের সঙ্গে ঈদ কাটাবো বলে,তারপরে আবার কেরলে কাজের উদ্দেশ্য চলে যাবো। কিন্তু ঈদ শেষ হতেই লকডাউন ঘোষণা করে দিলেন রাজ্য সরকার। এখন কিভাবে যাবো কেরলে, হাতে যেটুকু টাকা ছিল সেটাও বসে খেতে খেতে সব শেষ হয়ে গেছে।এখন লক ডাউন খোলার অপেক্ষায় আছি।
আরো এক পরিযায়ী শ্রমিক বলেন, যে এই করোনা মহামারীর কারণে সব কাজ শেষ হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা চোয়াপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রাকিবুল ইসলামকে জানাই, তারপরে তিনি আশ্বাস দেন যে যেকোনো কাজের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি । সেই মত ব্লক আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার পরে একশো দিনের কাজ শুরু করার কথা জানান পঞ্চায়েত প্রধান রাকিবুল ইসলাম। এই কাজ পেয়ে অনেকের মুখে হাসি ফুটেছে বলেও জানান তিনি ।
অন্যদিকে পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি ইউসুফ আলী জানান, যে যদি কেও একশো দিনের কাজ করতে চান ,অথচ জব কার্ড নেই, কিন্তু তারা পরিযায়ী শ্রমিক । তাদের জন্য কাজের সুযোগ আছে ,যারা কাজ করতে চান তারা নিজ পঞ্চায়েত গিয়ে কাজের জন্য আবেদন পত্র জমা করলে তাদের কাজের ব্যাবস্থা করে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ কান্দিতে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সমাবেশ বামফ্রন্টের
জলঙ্গি বিডিও শোভন দাস জানান, যে করোনা মহামারীতে সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতে একশো দিনের কাজ শুরু করা হয়েছে, যেমন ক্যানেল সংস্করণ, পুকুর কাটা, রাস্তা করা। অনেক কাজের সূচনা করা হয়েছে। বর্তমানে চোয়াপাড়া অঞ্চলে কাজ চলছে। বাকি পঞ্চায়েত গুলোতেও খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হবে বলে বিডিও শোভন দাস জানান।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584