শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
অনেক প্ররোচনা সত্ত্বেও সংযত ছিল পুলিশ। সেই কারণে এড়ানো গিয়েছে অপ্রীতিকর ঘটনা। বৃহস্পতিবার ভবানীভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই বললেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।মুখ্যসচিব উল্লেখ করেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় ও মহামারী আইন উল্লেখ করেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পুলিশকে সংযত থাকতে বলা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী পুলিশ যথেষ্টই সংযম দেখিয়েছে।
তবে অশান্তি পাকানোর অভিযোগে ১১৩ জনকে আটক করা হয়েছে, উদ্ধার করা হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্রও। তবে কোনও পুলিশকর্মীর আঘাতই খুব একটা গুরুতর নয়।ভবানীভবনে সংক্ষিপ্ত সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুনঃ বিজেপির নবান্ন ঘেরাও অভিযানকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কলকাতায়
তিনি জানান, পুলিশের ওপর হামলা চালানোর ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, এদিন এখনও পর্যন্ত কলকাতা পুলিশ ৮৯ জনকে ও হাওড়া পুলিশ ২৪ জনকে আটক করেছে। এদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ দুর্ঘটনা এড়াতে এবার গার্ডেনরিচ ফ্লাইওভারে ফেন্সিং কেএমডিএ-র
মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বুধবারই একটি রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে এই মিছিল করা হবে বলে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারপর রাজ্য সরকার চিঠি দিয়ে তার কথা জানিয়েছে। সেখানে গতকাল করা সুপ্রিম কোর্টের একটি রায় ও করোনার জন্য লাগু হওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়মের উল্লেখ করেই জানানো হয়েছিল, এত লোক নিয়ে মিছিল করার অনুমতি সম্ভব নয়।
কিন্তু তা সত্ত্বেও ওই রাজনৈতিক সংগঠন জোর করে মিছিল করেছে।সেই মিছিল থেকে পুলিশের ওপর আক্রমণ হয়েছে। অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে, বোমা পড়েছে। কিন্তু পুলিশ কড়া হাতে অপ্রীতিকর ঘটনা আটকেছে। ফলে সমস্যা খুব একটা বড় আকার নেয়নি।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584