মোহনা বিশ্বাস, কলকাতাঃ
শহরে ফের ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ পেল কলকাতা পুলিশ। বেশ কিছুদিন ধরে কলকাতায় বসে অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা ও ব্রিটেনের বহু নাগরিকদের কাছ থেকে সাহায্যের নাম করে ডলার ও পাউন্ড নিয়ে নেওয়া হচ্ছিল। এবার কলকাতায় ভুয়ো কল সেন্টার চালানো ও তাতে কাজ করার অভিযোগে ১২ জনকে গ্রেফতার করলেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।

পুলিশ সূত্রে খবর, এর আগে সল্টলেক ও তপসিয়ার দু’টি কল সেন্টারে অভিযান চালিয়ে পুলিশ মোট ১৯ জনকে গ্রেফতার করে। এই নিয়ে মোট ৩১ জনকে গ্রেফতার করছে কলকাতা পুলিশ। তাদের জেরা করেই পুলিশ জানতে পারে যে, কলকাতায় এরকম আরও কয়েকটি ভুয়ো কলসেন্টার চলছে। সেই সূত্র ধরেই পূর্ব কলকাতার তিলজলার চৌবাগা এলাকায় হানা দেন লালবাজারের সাইবার থানার আধিকারিকরা। তাঁদের সঙ্গে ছিল গোয়েন্দা বিভাগের গুন্ডাদমন শাখাও। চৌবাগার একটি বড় ফ্ল্যাটে সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছিল একটি কল সেন্টার। যেটা আদতে ভুয়ো।
চৌবাগা থেকে ধৃতরা হচ্ছে ইমরোজ খান, মহম্মদ দিলবার অনিশ, মহম্মদ সোহেল, পিটার বাহাদুর, মহম্মদ রেজাউন, মহম্মদ সোহেল খান, হুজাইফা হুসেন, আকাশলাল রজক, মহম্মদ ইয়াসিন, মহম্মদ সামির, যোগেশ লাল, শশী গুপ্তা। ওই অফিস থেকে মোবাইল, কম্পিউটার ও অন্যান্য বৈদ্যুতিন যন্ত্র উদ্ধার করেন গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুনঃ পুলিশ আধিকারিক সেজে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা
ধৃতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওই সাজানো ফ্ল্যাটে বসেই আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও ব্রিটেনের নাগরিকদের ফোন করত অভিযুক্তরা। একটি সংস্থার কর্মী হিসাবে নিজেদের পরিচয় দিত তারা। তিনদেশের বাসিন্দাদের বলতো যে তারা প্রযুক্তিগতভাবে সাহায্য করে থাকে। তবে তার জন্য ওই নাগরিকদের একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলত অভিযুক্তরা। নাগরিকরা অ্যাপ ডাউনলোড করলেই ওই ব্যক্তির ল্যাপটপ বা কম্পিউটার নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিত তারা। একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্ক্রিন ফাঁকা করে দিত।
আরও পড়ুনঃ স্ত্রীকে খুন করে থানায় স্বামী! চাঞ্চল্যকর ঘটনা কলকাতায়
এরপর নিজেরাই বলত, কম্পিউটার সারাতে গেলে ডলার বা পাউন্ড পাঠাতে হবে। এই টাকা একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানোর পরই তাঁদের কম্পিউটার ঠিক করে দিত তারা। কখনও আবার বেশি বেশি ডলার বা পাউন্ড চাইত অভিযুক্তরা। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট যেহেতু কলকাতার তাই ডলার বা পাউন্ড খুইয়ে বিদেশিরা কলকাতা পুলিশকে মেল করে। সেই মেলের ভিত্তিতেই সাইবার থানা শুরু করে তদন্ত। এরপরই ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ পায় কলকাতা পুলিশ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584