নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
নেতৃত্বের সংকট ও অন্তর্কলহ নিয়ে ২৩ জন কংগ্রেস নেতা সম্প্রতি সোনিয়া গান্ধিকে চিঠি লিখেছেন। সোমবার সেই চিঠির বিষয়ে আলোচনা করতে দলের নীতি নির্ধারণ কমিটি বৈঠকে বসছে। কংগ্রেস সূত্রে এমনটাই খবর। দলের শীর্ষ নীতি নির্ধারণ কমিটি তথা ওয়ার্কিং কমিটি সোমবার অনলাইনে এই বৈঠক করবে।
প্রায় তিন সপ্তাহ ফের বৈঠকে করতে দেখা যাবে ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যদের। শেষবারও নেতৃত্বের সংকট ও দলের শীর্ষপদে রাহুলকে ফেরানোর দাবিতে সরব হয়েছিলেন কংগ্রেসের সাংসদরা। জানা গিয়েছে, পাঁচ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, একাধিক কংগ্রেস কার্যকরী কমিটির সদস্য, বর্তমান সাংসদ ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের একাংশ সহ মোট ২৩ জন শীর্ষ কংগ্রেস নেতা সোনিয়া গান্ধীর কাছে চিঠি লিখে সংগঠনে উপর থেকে নীচ পর্যন্ত পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন।
একাধিক রাজ্যে চলা নবীন বনাম প্রবীণ দ্বন্দ্ব, সাংগঠনিক অস্থিরতা নিয়ে তাঁরা মোটেই সন্তুষ্ট নয়। এই প্রসঙ্গই সেই চিঠির মূল বিষয়বস্তু। এই সঙ্কটে সংগঠনের নীচুতলার কর্মীদের মনোবল তলানিতে ঠেকছে। এই দাবি করে অবিলম্বে আত্মসমীক্ষার পক্ষে সওয়াল করেছেন চিঠি প্রেরকরা। যদিও কংগ্রেসের পরিচিত মুখের তরফে এই চিঠির কথা অস্বীকার করা হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ বিচারপতিরাও সাধারণ নাগরিক, প্রশান্ত ভূষণের সমর্থনে জানালেন জাস্টিস কার্নান
সোনিয়াকে দেওয়া চিঠিতে সাক্ষর রয়েছে রাজ্যসভায় কংগ্রেস নেতা গুলাম নবী আজাদ, প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী আনন্দ শর্মা, কপিল সিবাল, শশী থারুর, সাংসদ বিবেক তাঙ্কা, মুকুল ওয়াসনিকের মত নেতাদের।
বিজেপি ও সংঘ পরিবারের সাম্প্রদায়িক ও মেরুকৃত প্রচারের ফলে ভয় ও নিরাপত্তাহীনতার পরিবেশ, অর্থনৈতিক সংকট, বেকারত্ব বৃদ্ধি, করোনা মহামারী, সীমান্ত বিতর্ক, বিদেশ নীতি সহ একাধিক ইস্যু থাকা সত্ত্বেও দেশের সংকটকালে দলের নিম্নমুখীতাকে ওই চিঠিতে চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো হয়েছে। বলা হয়েছে, গণতন্ত্রের স্বার্থে কংগ্রেসের পুনরুত্থান ‘জাতীয় আবশ্যিকতা’।
আরও পড়ুনঃ হিন্দি না বুঝলে সভা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ আয়ুষ সচিবের
চিঠিতে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, প্রদেশ সংগঠনগুলিকে পোক্ত করা, ব্লক থেকে কার্যকরী কমিটি- সংগঠনের সবস্তরে নির্বাচন, কেন্দ্রীয় সংসদীয় বোর্ডের সংবিধান গঠন সহ কংগ্রেসের অভ্যন্তরে একাধিক সংস্কারের কথা তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও বলা হয়েছে যে, নেতৃত্বের প্রতি ‘অনিশ্চয়তা’ ও দলের ‘ক্ষয়’ কর্মীদের হতাশ করছে। ফলে দল দুর্বল হয়ে পড়ছে। উল্লেখযোগ্যভাবে সেখানে বলা হয়েছে যে, বিজেপির বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে কংগ্রেস কার্যকরী কমিটি ‘উপযুক্ত ও কার্যকরী নেতৃত্ব’ প্রদানে ব্যর্থ।
সংগঠনকে চাঙ্গা করতে ২৩ নেতার চিঠিতে উল্লেখিত একাধিক পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে, সর্বক্ষণের নেতৃত্ব নিয়োগ, এআইসিসি ও প্রদেশ সদর দফতরে উপযুক্ত নেতাদের উপস্থিতি, দলের সবস্তরের কমিটিতে নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নিয়োগ। প্রতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে যৌথ নেতৃত্ব গঠনও কংগ্রেসের ঘুরে দাঁড়ানোর অন্যতম উপায় বলে জানানো হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584