নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েশি দ্বীপে স্থানীয় সময় শুক্রবার রিখটার স্কেলে ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ম্যাজেন শহর থেকে ৬ কিলোমিটার (৩.৭৩ মাইল) উত্তর-পূর্বে মাটির ১০ কিলোমিটার গভীরে।
ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪, তবে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে আরও বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা। ইন্দোনেশিয়ার ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট সংস্থার প্রধান আলী রহমান জানিয়েছেন একথা। এই ভূমিকম্পের আগে বৃহস্পতিবার একই জায়গায় ৫.৯ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প হয়।
শুক্রবার ভোরে ইন্দোনেশিয়ার ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট সংস্থা জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ভূমিকম্পের কারণে অন্তত তিনটি জায়গায় ধ্বস নেমেছে। বিপর্যস্ত হয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। ২০১৮ সালে এই সুলাওয়েশি দ্বীপের পালু শহরে ৬.২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার পর সুনামি হয়। এতে প্রাণ গিয়েছিল কয়েক হাজার মানুষের।
আরও পড়ুনঃ করোনা চিকিৎসায় অক্সিজেনের হাহাকার ব্রাজিলে
দেশের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট সংস্থার প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে ম্যাজেন শহরে চার জন নিহত ও ৬৩৭ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া পাশের মামুজু শহরে তিন জন নিহত ও ২৪ জনের মতো আহত হয়েছেন। বাকি মৃত মানুষদের বিষয়ে আর কোন তথ্য জানা যায়নি বলেই তারা জানিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বিদায় বেলায় ফের ইমপিচমেন্টের খাঁড়া ট্রাম্পের ঘাড়ে
ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট সংস্থাগর মুখপাত্র জানায়, ভূমিকম্পের সময় হাজার হাজার আতঙ্কিত মানুষ বাড়িঘর থেকে বেরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়স্থলের দিকে ছোটেন। ভোরে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ৬০টি বাড়ি। ভূমিকম্পের স্থায়িত্ব ছিল ৭ সেকেন্ডের মতো। তবে ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত কিছু ছবি এবং ভিডিও দেখা যায়, ভূমিকম্পে আতঙ্কিত মানুষ সুনামির আশঙ্কায় মোটরসাইকেলে করে উঁচু স্থানের দিকে ছুটছেন। একটি বাড়ির ধ্বংসস্তূপের মধ্যে এক শিশুকেও চাপা পড়ে থাকতে দেখা যায়। সে সময় খালি হাতেই ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584