নিজস্ব সংবাদদাতা,ওয়েব ডেস্কঃ
উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে ধ্বসে সোমবার রাত পর্যন্ত আইটিবিপি, এনডিআরএফ এবং সেনার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অন্তত ১৭০ জনকে উদ্ধার করা গিয়েছে। তাঁদের অধিকাংশই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে কর্মরত শ্রমিক। এখনও দু’জন নিখোঁজ বলে জানা গিয়েছে। রাজ্য আপৎকালীন কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, ২৬টি দেহ এখনও পর্যন্ত এনটিপিসির তপোবন বিষ্ণুগাড জলবিদ্যুৎ প্রকল্প এবং ঋষিগঙ্গা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, তপোবনে ১৯০০ মিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গেই উদ্ধারকাজ কেন্দ্রীভূত। অনুমান করা হচ্ছে সুড়ঙ্গে এখনও প্রায় ৩৫ জন আটকে রয়েছেন। ধ্বসের জেরে সুড়ঙ্গের ২০ ফুট অংশ অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। উদ্ধারকারীদের আশা, সুড়ঙ্গের কয়েক শো মিটার দূরত্বের পর আটকে পড়াদের বেঁচে থাকার আশা রয়েছে। সুড়ঙ্গের ভিতরে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইটিবিপি আধিকারিকরা।
উত্তরাখণ্ডের ডিজিপি অশোক কুমার জানিয়েছেন, “তপোবন টানেলের ভিতরে ১৩০ মিটার পর্যন্ত উদ্ধারকারীরা পৌঁছতে পেরেছেন। তবে ২০০ মিটার পর থেকে পথ পরিষ্কার থাকতে পারে অনুমান। তখন কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।”
আরও পড়ুনঃ গ্রেফতার দীপ, গেরুয়া শিবিরের ‘কৌশলী চাল’ ঘিরে উঠছে প্রশ্ন
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট এস আর মঞ্জুনাথ জানিয়েছেন, “রবিবার পর্যন্ত সুড়ঙ্গের ৮০ মিটার ভিতরে পৌঁছতে পেরেছি আমরা। সোমবার সন্ধে পর্যন্ত আরও ৫০ মিটার গিয়েছি। সারারাত ধরে উদ্ধারকাজ চলছে। সুড়ঙ্গের ভিতরে প্রচুর কাদা রয়েছে। সেনাবাহিনী, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং পুলিশ যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ করছে।”
আরও পড়ুনঃ ১১৭৮ টি টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধের নির্দেশ, চিঠি ভারত সরকারের
চামোলির বদর গ্রামে ৭২ বছরের বংশীলাল নিজের ছেলের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন, যা উদ্ধারকাজের স্থান থেকে ৫০কি.মি দূরত্বে। তাঁর ছেলে মহেন্দ্র কুমার ঘটনার দিন থেকে নিখোঁজ। এনটিপিসি প্রকল্পে হেল্পার হিসাবে কর্মরত মহেন্দ্র হয়তো সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
বংশীলাল জানিয়েছেন, তিনি আর বিশেষ আশা দেখছেন না ছেলেকে ফিরে পাওয়ার। অনেকটা সময় হয়ে গিয়েছে, ছেলে এখনও সুড়ঙ্গে আটকেই রয়েছে। আদৌ বেঁচে আছে কি না বোঝার উপায় নেই।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584